গভীর রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক নারী জানান, তার ভাই আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। ভাইকে বাঁচাতে পুলিশের কাছে আকুতি জানান তিনি। এর পর মাত্র ৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত্যুর মুখ থেকে ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় জরুরি সেবা সূত্র জানায়, গত শনিবার গভীর রাতে পটুয়াখালী থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক নারী বলেন, ‘আমার ভাই আসিফ খান (ছদ্মনাম) মোহাম্মদপুরের ১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকে। সেখান থেকে একজন ফোন করে জানিয়েছেন, আসিফ খান আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
খবরটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাত ২টা ২৭ মিনিটে মোহাম্মাদপুর থানার সংশ্লিষ্ট টহল টিমকে জানায় ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ। তখন ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটর দূরে পুলিশের টিমের অবস্থান। খবর পেয়ে মাত্র ৬ মিনিটে অর্থাৎ রাত ২টা ৩৩ মিনিটে ঝড়োবেগে ওই বাসায় পৌঁছে পুলিশ আসিফ খানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, আসিফ খান ডগ ট্রেইনার হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন। স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মাদপুরের ওই বাসায় থাকতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, কাক্সিক্ষত সাফল্য না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। রাতভর থানাপুলিশের কর্মকর্তারা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মোবাইল ফোনে কথা বলে আসিফ খানকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে পটুয়াখালী থেকে তার বোন ও দুলাভাই এলে গতকাল দুপুরে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আসিফকে।
৯৯৯-এর সহাকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিরাজুর রহমান পাটোয়ারী আমাদের সময়কে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি পুলিশকে আশ^স্ত করেছেন, তিনি আর আত্মহত্যা করবেন না। এমন অনেক কাজের মাধ্যমে এ সেবাটি মানুষের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। ৯৯৯ স্বল্পতম সময়ে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকে সব সময়।’ তিনি আরও জানান, কার্যক্রমটি শুরুর পর থেকে গেল এক বছরে প্রায় ৭৭ লাখ কল এসেছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। প্রতিদিন গড়ে কল আসে ১২ থেকে ১৮ হাজার।