মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনবার ধর্ষণের শিকার হন সুজি। কিন্তু আমেরিকার জর্জিয়ার বাসিন্দা তরুণী সুজি লারসেনকে শুনতে হয়েছিল যে তার দোষেই নাকি এই ঘটনা ঘটেছে। নিশ্চয়ই এমন কিছু করেন তিনি যাতে উত্তেজিত হয়ে ওই ধর্ষক পুরুষেরা তাকে ‘ধর্ষণ’ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সুজি জানিয়েছেন, সেই ধর্ষণের নির্মমতার দুঃস্বপ্ন তার ২৫ বছরে এসেও তাড়া করে তাকে। তাই এবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিতে অভিনব ও সাহসী এক পদক্ষেপ নিলেন সুজি। নিজের খোলামেলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরাসরি জানতে চাইলেন যে, কোথায় তার শরীর বাকিদের থেকে আলাদা?
সুজি আরও জানিয়েছেন যে, যে তিনজন তাকে ধর্ষণ করেছেন, তাদের মধ্যে দু’জন তার পরিবারেরই সদস্য। কিন্তু এই ব্যাপারে বাড়ির লোককে জানাতে, তারা তাকেই দোষ দেন। সবসময়েই শরীর ঢাকা পোশাক পরে থাকতেন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে শরীর খারাপও হতে শুরু করে তার।
আর এমন সময় তার জীবনে আসে প্রেমিক স্যামুয়েল। তিনিই এই পরিস্থিতি থেকে তাকে বের করে আনতে সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সুজি। পোশাকের সঙ্গে ধর্ষণের কোনো সম্পর্ক নেই, পুরো সমস্যাটাই মানসিকতার, এই কথা সুজিকে স্পষ্ট ভাবে জানান স্যামুয়েল।
এরপর নিজের ছবির মাধ্যমে তিনি সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বাকি পৃথিবীর কাছে, কী এমন আছে তার শরীরে যা ধর্ষকদের ডেকে বলে ধর্ষণ করবার জন্য।