বিডিমর্নিং এ সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে পদ্মায় অবৈধ বাশেঁর বাধঁ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার চরসালেপুর এলাকার পদ্মা নদীতে এ ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন, মোবাইল কোর্ট পেশকার মোঃ জামাল, চরভদ্রাসন থানার এস.আই শাহিনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
এদিকে প্রশাসন পদ্মায় অবৈধ বাশেঁর বাধঁ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেও তা নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মায় অবৈধ বাশেঁর বাধঁ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। কিন্তু বাধঁ সংশ্লিষ্টরা নিজেরাই তাদের বাধঁ উঠিয়ে নিবে বলে আমাদের কাছে দুই দিনের সময় চাওয়ায় আমরা অভিযান বন্ধ রেখেছি। তিনি আরও জানান, তারা যদি দুই দিনের মধ্যে তাদের বাধঁ উচ্ছেদ না করে তবে আমরা পরবর্তীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উক্ত বাধঁ উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে তিনি জানান।
জানা যায়, ১৯৫০ মৎস্য সংরক্ষন আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীতে আড়াআড়িভাবে অবধৈ বাশেঁর বাধঁ দেয়ায় পাবনা জেলার ঠাকুর চন্দ্র হালদার (৫৮), কানাই হালদার (৫৯), নরেশ হালদার (৫৫) তিন জনের কাছ থেকে ৫ হাজার করে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার শেখ আমজাদ (৩৩) ও তারা বাওয়ালি (২৪) এর ২ জনের কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা করে ৪ হাজার টাকাসহ মোট ১৯ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় দেখিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত মামলার নিস্পত্তি করেন।
এছাড়া অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং আটক ৬০ কেজি মাছ উপজেলার আব্দুল শিকদার ডাঙ্গী মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার চরসালেপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গত ১ মাস ধরে অবৈধ বাশেঁর বাধঁ দিয়ে প্রভাবশালীদের মাছ শিকারের খবর বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন উক্ত পদ্মা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করেন।