Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বোনের বিরোধী হয়ে মাঠে নামছেন রাজা ভাজিরালংকর্ণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:১৬ PM
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:২৬ PM

bdmorning Image Preview


থাইল্যান্ডের দীর্ঘ বিলম্বিত জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে নামছেন দেশটির রাজকন্যা উবনরাত শ্রীভাদানা বারনাভাদি। আর বোনের এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিরোধীতা করে থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ এটাকে অনুচিত এবং অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন।

এক বিবৃতিতে রাজা বলেছেন, রাজপরিবারের উচ্চপদস্থ সদস্যের রাজনীতিতে জড়িত হওয়া, তা যেভাবেই হোক না কেন, তা দেশের ঐতিহ্য, প্রথা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আর সেকারণেই এ ধরনের কিছু করা একেবারেই ঠিক নয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মিত্রদের প্রতিষ্ঠিত দল থাই রাকসা চার্ট উবনরাতকে মনোনয়ন দিয়েছে। শুক্রবার প্রার্থী হিসেবে ৬৭ বছর বয়সী রাজকন্যার নিবন্ধন থাই রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

থাইল্যান্ডে এই প্রথম কোনো রাজপরিবারের সদস্য রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের প্রথম সন্তান।

১৯৭২ সালে এক মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করে নিজের রাজকীয় পদবি হারান উবনরাত। বিবাহবিচ্ছেদের পর নব্বইয়ের দশকে তিনি থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন।

যদিও তার আনুষ্ঠানিক রাজকীয় পদবি তিনি ফিরে পাননি। তবে থাই জনগণ তাকে রাজকীয় সম্মানে ভূষিত করে আসছেন।

উবনরাত দীর্ঘদিন ধরে সিনাওয়াত্রার পরিবারের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। সিনাওয়াত্রার পরিবারের কোনো সদস্য এবারের নির্বাচনে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তার ছায়া রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে একটি প্রভাব থেকেই যাবে।

এদিকে থাই সামরিক সরকারের প্রধান প্রিয়থ চান-ওচা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী সমর্থিত পালাং প্রাচারাট দলের হয়ে তিনিও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন।

২০১৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইনলাক সিনাওয়াত্রাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান প্রিয়ত চান-ওচা। রাজকন্যা উবনরাত তার অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview