Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাদা চাদরে সতীত্বের পরীক্ষা থেকে রক্ষা পেল নববধূরা

বিডিমর্নিং ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২০ PM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২০ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


বাসর রাতে সাদা চাদর রক্তে জর্জরিত হওয়া মানেই নববধূর সতীত্বের পরীক্ষা। প্রায় চার শতাব্দী ধরে চলে আসা মধ্যযুগীয় এই বর্বর প্রথাকে যৌন নির্যাতনেরই সামিল উল্লেখ করে অবশেষে রাশ টানল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। গোটা সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক এবং নারীর পক্ষে চূড়ান্ত অবমাননাকর এই রীতি অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই আদিম প্রথা এখনও চলে আসছে। তার মধ্যে পুণের পিঁপরীতে কঞ্জরভাট জনগোষ্ঠীর নাম সবচেয়ে আগে আসে। অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক এই রীতির কারণেই সমাজের কাছে হেনস্ত হতে হয় নতুন বিবাহিতা স্ত্রীকে। সতীত্বের বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়। এই প্রথা বন্ধের জন্য বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নানা গ্রুপ। এগিয়ে এসেছে রাজ্য মহিলা কমিশনও। তাই সরকারি নির্দেশিকা জারি করে নিষ্ঠুর এই প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কঞ্জরভাট সমাজে প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। স্বামী-স্ত্রী না চাইলেও পরীক্ষা হবেই। পঞ্চায়েত মাতব্বরদের নিদান অগ্রাহ্য করার উপায় কারো নেই।

গত বছর এই রীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন কঞ্জরভাট জনজাতিরই এক দম্পতি বিবেক-ঐশ্বরিয়া। ছাই চাপা আগুনের মতোই সমাজের তরুণ প্রজন্ম প্রতিবাদ চালিয়েছিল অলক্ষ্যে। সেই প্রতিবাদই এবার মান্যতা পেল। শতাব্দী প্রাচীন অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল কঞ্জরভাট নারীরা।

 

Bootstrap Image Preview