Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মোদীর জন্য যে উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:০৬ PM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:০৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশ ও ভারতের পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিতে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নয়াদিল্লি সফরে গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আবদুল মোমেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো বিশেষ মিষ্টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে দিবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আবদুল মোমেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে. আবদুল মোমেন। এছাড়াও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্যে ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।

কূটনীতিকরা বলছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে – এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু কয়েকমাস পরেই ভারতে লোকসভা নির্বাচন। সাধারণত এমন সময়ে কূটনীতিকরা সফরে যান না। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর থেকে নতুন কোন বার্তা আসতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নয়াদিল্লির কার্যকর সমর্থন চাইবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের বেসরকারি বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর কথাও তুলতে পারেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, আসন্ন পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে এরই মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বিষয়ের আলোচনা এই সফরে না তোলার জন্য কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন। পানি নিয়ে গঠিত দুই দেশের কমিটির পরবর্তী বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। কেননা, সামনে ভারতের লোকসভা নির্বাচন, এই সময়ে তিস্তা নিয়ে আলোচনা ভারতের সরকারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলতে পারে।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন,তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যতদিন এই ইস্যুতে সুরাহা না হচ্ছে, ততদিন আলোচনা চালিয়ে যাব। আসন্ন নয়াদিল্লি সফরেও তিস্তা নিয়ে আলোচনা করব।

ঢাকার কূটনীতিকরা আরও বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে অর্থনৈতিক কূটনীতির আওতায় ভারতের বেসরকারি খাতের আরও বিনিয়োগ চাইবে ঢাকা।

ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ, আরও ৬ থেকে ১০টি সীমান্ত হাট চালু, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার, বেনাপোল স্থলবন্দর উন্নয়নসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাপ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হতে পারে। এগুলো হচ্ছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং ভারতের প্রাসর ভারতী এবং দুই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হতে পারে।

ভারত সফর শেষে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফেরার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সর্বশেষ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক ২০১৭ সালের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

Bootstrap Image Preview