Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫২ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থার একটি অংশ হলো পার্চিং। শস্য ভাণ্ডার খ্যাত নাটোরের সিংড়া চলনবিলের আবাদী জমিতে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কারণে কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহারে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কীটনাশক ব্যবহার কমে আসবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পার্চিংয়ের উপকারিতা সম্পর্কে সিংড়া পৌর শহরের বালুভরা বিলে কৃষকদের অবহিত করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শারমিন সুলতানা। পরে ওই গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা নিজ উদ্যোগে জমিতে পাখি বসার জন্য বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে দেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ফসলে ক্ষতিকারক পোকা দমনে অনেক আগে থেকে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এতে যেমন অনেক উপকারী পোকা মারা যায়, তেমনি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ক্ষতির চিন্তা করেই পার্চিংয়ের মতো নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে জমির বিভিন্ন স্থানে পাখি বসার জন্য ৬-৮টি (বিঘা প্রতি) বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে দেয়া হয়। এসব ডালে বসে পাখি জমির পোকা খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

বালুভরা গ্রামের সামু মোল্লা বলেন, জমিতে পোকার আক্রমণ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো। এখন পার্চিং পদ্ধতিতে কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই পোকা দমন করা যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে গত কয়েক বছর থেকে আমরা নিজেরাই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এতে করে এক দিকে কীটনাশক সংক্রান্ত খরচ হচ্ছে, তেমনি ফসলের উৎপাদনও বাড়ছে।

উপ-সহকারি কৃষি অফিসার শামিমা আক্তার জানান, মাজড়া পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, নলী মাছি, গল মাছি, চুঙ্গী পোকা এ ধরনের পোকা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকারক। ডালে বসে পাখিরা জমির এসব পোকা খায়। এতে পোকামাকড়ের জন্য বালাইনাশকের প্রয়োজন হয়না। কৃষকের অর্থনৈতিক সাশ্রয় হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, পার্চিং একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধে বার বার জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে মানুষের ক্ষতি হয়। এছাড়াও উপকারী পোকা, মাছ, পাখি, প্রাণী ও পতঙ্গ মারা যায়। উপজেলায় কৃষকদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। এতে কীটনাশকের ব্যবহার কমে এসেছে। পার্চিং পদ্ধতিতে পাখিই পোকা খেয়ে ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।

Bootstrap Image Preview