স্ত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে প্রোফাইল দেখে রেগে আগুন হয়ে যায় ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। এর পর আবার তিন তালাক চেয়ে ফোনে হুমকিও দিয়েছেন স্ত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন স্বামী। তবে সব শুনে বিচারপতি মুচকি হেসে বলেন, ‘ফেসবুক, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের স্ট্যাটাসে কে কি দিল, তাতে কি আসে যায়!’
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতায়। ভারতীয় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কলকাতার তালতলা লেনের শাবিহা পারভিনের সঙ্গে ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর স্পেশ্যাল ম্যারেজ আক্টে বিয়ে হয় নাহারুল হক নামে এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের। দম্পতির পাঁচ বছরের এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামীকে ফেলে শাবিহা তালতলায় বাপের বাড়ি চলে গেছেন অনেকদিন।
নাহারুল হকের অভিযোগ, শাবিহা তাকে ফোন করে তিন তালাকের হুমকি দেন মাঝে মধ্যে। এর পর তিনি বাগুইআটি থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ তার।
নাহারুল হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে নাহারুলের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘বিয়ের পর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার মক্কেল ত্রিপুরায় চাকরি করতে চলে যায়। কিন্তু শাবিহার মাসহ পরিবারের এক সদস্য গিয়ে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসে। নাহারুলও বদলি নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। শাবিহার পরিবার তাকে ঘরজামাই থাকার কথা বললেও তিনি রাজি হননি।’
আইনজীবী আরও জানান, যুবক বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লীতে ফ্ল্যাটে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু ওই গৃহবধূ ফেসবুকে আসক্ত। সারা রাত প্রেমিকদের সঙ্গে ফোনালাপ চালিয়ে যান। এমনকি ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজেকে সিঙ্গেল এবং ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে ডিভোর্সি বলে দাবিও করেছেন। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি করে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি থাকেন। স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী কোর্ট থেকে ডিভোর্স নিতে হয়। অথচ স্বামীকে ফোনে হুমকি দিয়ে তিন তালাক দিতে চাপ দিচ্ছেন সাবিহা।
সব শুনে বিচারপতি মুচকি হেসে বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিলে ভালো। না হলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে নাহারুল-শাবিহাকে।’