ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানিতে। ২০ বছরের বয়সী মডেল লুউ নেসবিট এবং ৫৬ বছরের পর্ন তারকা ইগোন কোয়ালস্কি। তাদের বয়সের ব্যাবধান ৩৬ বছর।তবে দু'জনের বয়সের এই ব্যবধান তাদের প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের প্রথম দেখা এক পর্ন ছবির শুটিংয়ের সেটে। প্রথম দেখাতেই তারা প্রেমে পড়ে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় তাদের মধ্যে এই অসম প্রেম নিয়ে ট্রোলড হতে হয়। অনেকে তাদেরকে ইংরেজিতে ‘পারভার্ট’ বা কামুক বলে অভিহিত করেছে। তবে তারা একজন আরেকজনকে ছেড়ে যাননি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অসম প্রেম নিয়ে লুউ সব সময় স্বাভাবিক থাকলেও প্রথম দিকে ইগোন কিছুটা সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু সব কিছু পিছনে ফেলে ২০১৭ সালের আগস্টে তারা চুটিয়ে ডেটিং শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। তবে সমালোচনাদের চোখ এড়াতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদেরকে যারা ‘পারভার্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এমন সব নেটিজেনদের দাবি, তাদের প্রেম সত্যিকারের নয়। লুউ তার যৌন সম্পর্ক ও অর্থের লোভে ইগোনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে অন্যরা যাই বলুক না কেন, লুউ-ইগোন তাদের পরিববারকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন এবং পরিবারও তাদের অসম সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।
লুউ বলেছেন, একটি পর্নে ছবির শুটিং করার সময় আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে পরিচিত হই। ওই শুটিংয়ে আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম। আমাদের চারপাশে ছিলেন অন্যরা। ছিলেন ক্যামেরাম্যান। ফলে ওই ঘটনাটি এমন কোনো নতুন ঘটনা ছিল না। ওই বছরেই তার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়ে যাই। কারণ, আমি যেমনটা চাই তিনি তেমনই। আমরা সব নিয়েই আলোচনা করি। তার কারিশমা আমার খুব পছন্দ। আমার যখনই তার প্রয়োজন হয়, আমি তাকে কাছে পেয়ে যাই। তিনি আরও বলেন, আমার প্রকৃতপক্ষে বিয়ে নিয়ে কখনোই আলোচনা করি না। তবে মাঝে মধ্যে এটা নিয়ে আমি চিন্তা করি।
লিউ বলেছেন, 'তারা একে অন্যের পরিবার থেকে আশীর্বাদ পেয়েছেন এবং তারা প্রমাণ করতে চান যে, দু'জন মধ্যে মিল থাকলে ভালোবাসা থাকলে বয়স কোনো ব্যাপার না'
তিনি বলেন, 'আমি দুঃখ পাই যে, মানুষ বয়সের পার্থক্যের কারণে আমাদের ভালবাসাকে সন্দেহ করে। কিন্তু যদি তারা আমাদের সাথে এক সপ্তাহের জন্য নিরব দর্শক হিসেবে থাকত, তবে তারা উপলব্ধি করবে যে, আমরা একে অপরকে কতটা ভালোবাসি। সম্পর্ক কোনো বয়স, লিঙ্গ এবং চেহারার মতো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু তারা কতটা সুখী তা বাইরে থেকে একেবারেই বোঝা যায় না।'