নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া এলাকায় হাসান ডাইং কারখানার ক্যামিকেলে এলাকার পরিবেশ দূষণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ দূষণের ফলে এলাকাবাসী পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এলাকার অনেকেই বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোন কর্ণপাত করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডাইং কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়রা জানান, কারখানার আশপাশে প্রায় ৪ হাজার পরিবার স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। কারখানাটি গত ২ বছর যাবৎ চালু রয়েছে। গ্যাস সংযোগ না পেয়ে কয়লা কাঠ দিয়ে কারখানাটি চালিয়ে আসছে। ফলে কারখানার কালো ধোয়া ও ক্যামিকেল মিশ্রিত পানিতে এলাকাবাসীর শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
কালো ধোয়া ও বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে ম্যালেরিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে লোকজন। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। এলাকার বেশীরভাগ মানুষ গরীব বলে অনেকেই চিকিৎসার টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ সুযোগে কাখানার মালিক হাসান মিয়া এলাকার অনেক অসহয় গরীব শিশুদের দিয়ে কম বেতনে কাজে নিচ্ছে। এতে করে শিশুরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অমান্য করা হচ্ছে শিশুশ্রম আইন।
জানা যায়, ডাইং কারখানার মালিক মোঃ হাসান মিয়া পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও ইটিপি প্লান না নিয়েই এই জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে আসছে। কারখানার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠছে। প্রতিবাদে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাসান ডাইং কারখানার মালিক পক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার না পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, শিশুশ্রম বেআইনী। তা ছাড়া জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না। খুব শীগ্রই হাসান ডাইং কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।