একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
১৯৫৫ সালের ৩০ জুন জন্মগ্রহণ করেন তাজুল ইসলাম। তার বাবার নাম জুলফিকার আলী ও মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। তার ছাত্রজীবন শুরু হয় গ্রামের পোমগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ এবং অনার্স-মাস্টার্স চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) থেকে।
নিজ এলাকায় শিক্ষার বিস্তারে তার অবদান অনেক। তিনি নিজ এলাকায় অসংখ্য স্কুল কলেজ তৈরি করেছেন। তার বাবার নামে একটি কারিগরি স্কুল তৈরি করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা ৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে মো. তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) বিএনপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) এম আনোয়ার উল আজিমকে (ধানের শীষ প্রতীক) বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের ফলাফলে মো. তাজুল ইসলাম পান ১ লাখ ৪১ হাজার ৬১৫ ভোট এবং কর্নেল (অব.) এম আনোয়ার উল আজিম ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পান।
এর আগে মো. তাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে জয়ী হয়ে সংসদে যান এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের মত জাতীয় সংসদে যান। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করেন মো. তাজুল ইসলাম। এ নিয়ে তিনি চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
নির্বাচিত হওয়ার পরই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পান তিনি। দায়িত্ব পেয়েই তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম উন্নয়ন হলে গ্রামাঞ্চলের সব মানুষ উন্নত জীবনের সুবিধা পাবে। তিনি সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার সহযোগিতা চাই। আগামী ৫ বছরে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব সততা, মেধা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করা হবে।