Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভেজাল কীটনাশকে সয়লাব ঝিনাইদহ উপজেলার হাটবাজার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২১ PM
আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:২১ PM

bdmorning Image Preview


ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটবাজারগুলো ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক শ্রেণীর ডিলার ও ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় দু'নম্বর ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিল পুর, শীতালী বাজার, পাইকেন পাড়া, ধাওড়া বাজার, আওধা বাজার  লাঙ্গলবাঁধ বাজার, খুলুমবাড়িয়া বাজার, কাতলা গাড়ী বাজার, কচুয়া বাজার, বেনিপুর-তমালতলা বাজার, শেখপাড়া বাজার, মদনডাঙ্গা, চরিযারবিল বাজার, গাড়াগঞ্জ বাজার, ভাটই বাজার আলমডাঙ্গা বাজার সাধুহাটি বাজারও শৈলকুপা থানা সদরসহ প্রতিটি হাটবাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল ভেজাল কীটনাশক ওষুধ দেদারচ্ছে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।

সার বিক্রির পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের হাতে ভেজাল কীটনাশক ওষুধ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

গোপন সূত্রে জানা যায়, সিনজেনটা কোম্পানির ভিরতাকো, বায়ার ক্রপ সাইন্স এর নাটিভো, ওটোক্রপ কেয়ারের রোভরাল নামের কীটনাশক ওষুধ নকল করে কৃর্ষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এসবের মূল হোতা হচ্ছে উপজেলার ফিপটি আমিন ও আনোয়ার হোসেন নামের দুই ব্যক্তি বলে জানা যায়।

এরা ভেজাল ওষুধ উপজেলার সমস্ত হাটবাজারগুলোতে সরবরাহ করে থাকে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সার ও কীটনাশক ওষুধ ব্যবসায়ীরা  অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ২০০৮ সালে আজাদ নামে এক ব্যক্তির প্রায় ১ কোটি টাকার ভেজাল কীটনাশক ওষুধ থানা সদরের হাজী মার্কেট থেকে প্রশাসন আটক করলেও তারপরও আালোর মুখ দেখেনি।

এ ছাড়াও লাঙ্গলবাঁধ এলাকার এক ব্যক্তি মজিদ ম্যাক সালফার নামে চকচকে প্যাকেটে ভরে বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বস্তাভরা লুচ সালফার কিনে এনে গভীর রাতে সেগুলো  শ্রপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকার একটি গোডাউনে রঙ বে রং এর প্যাকেটে ভরে তা শৈলকুপা, পাংশা, কালুখালী, কুমার খালী, মধুখালী, শ্রীপুর মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করে।

ধলহরা গ্রামের কৃষক শফি, নাথপাড়ার কৃষক জব্বার জানান, সার কিনতে গেলে সার ব্যবসায়ীরা আমাদের ভেজাল কীটনাশক ওষুধ হাতে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু জমিতে দিলে তা কোন কাজে আসে না।

এ ব্যাপারে সার ব্যবসায়ী আবু তালেব ও নোমান জানান, বেশী লাভের আসায় একশ্রেনীর অসাধু খুচরা সার ব্যবসায়ীরা এসব ভেজাল কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করে তারা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে বনে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এসকল নকল কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করি না দীর্ঘদিন ধরে সততার সাথে ব্যবসা করে আসছি। যার ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ, দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের নিকট এধরণের অভিযোগ আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাধারণ সালফসার ও কোম্পানির প্যাকেটজাত সালফার পরীক্ষা ছাড়া পারছেন্ট পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।  

Bootstrap Image Preview