Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পর্ন ভিডিও দেখা বন্ধ করা অসম্ভব, একধাক্কায় ৬ লক্ষ থেকে বেড়ে ২০০ কোটি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৫ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


পর্ন সাইট বন্ধের পর দৃশ্যত ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা। তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে।

জানা যায়, দেশটিতে পর্ন বন্ধের পর ২০১৮-র অক্টোবর পর্যন্ত প্রক্সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেখানে গড়ে প্রতি মাসে ৬ লক্ষ ভিজিট হয়েছিল পর্ন-সাইটগুলিতে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেটাই একধাক্কায় সামগ্রিক হিসেবে বেড়ে ২০০ কোটিতে দাঁড়ায়।

পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বন্ধ করার নির্দেশ জারির ঠিক তিন মাস পরে এটাই ভারতের চিত্র।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের উদ্দেশে ৮২৭টি পর্ন-সাইট বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়।

‘সিম্পল ওয়েব’-এর করা একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, পর্ন-দর্শন থেকে ভারতীয়দের ঠেকিয়ে রাখা তো যায়ইনি, বরং ঘটেছে উল্টোটা। ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে গড়ে প্রতি মাসে যে সংখ্যক মানুষ পর্নোগ্রাফি দেখেছিলেন, তার থেকে বেশি মানুষ পর্ন দেখেছেন নভেম্বর ও ডিসেম্বরে। চলতি জানুয়ারিতেও এই গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী দৌড় জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সমীক্ষায় দাবি, নির্দেশিকার জারির পরে নিষিদ্ধ সাইটগুলিতে দর্শকের সংখ্যা গড়ে ০.৮ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু সার্বিকভাবে পর্নোগ্রাফি দেখার হার বেড়ে যায় প্রক্সি নেটওয়ার্কের জন্য। ২০১৮-র অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রক্সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেখানে গড়ে প্রতি মাসে ৬ লক্ষ ভিজিট হয়েছিল পর্ন-সাইটগুলিতে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেটাই একধাক্কায় সামগ্রিক হিসেবে বেড়ে ২০০ কোটিতে দাঁড়ায়।

এ বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দেশে পর্নোগ্রাফিক সাইট নিষিদ্ধ করা এক প্রকার অসম্ভব। তার কারণ প্রক্সি নেটওয়ার্ক।

সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, ‘একটি সাইট বন্ধ করা গেল। কিন্তু সেই সঙ্গে কতগুলি ছায়া-সাইট (মিরর ওয়েব) তৈরি হয়ে যায়, সে হিসেব করা খুব কঠিন। সেগুলির মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি দেখা যায়। অনেকটা ছদ্মবেশের মতো। এ ছাড়া ডার্কওয়েব তো রয়েইছে। নেটওয়ার্কের জটিল কারিকুরিতে অনেক বন্ধ দরজাই খোলা যায়। তাই পর্ন সাইট পুরোপুরি বন্ধ করা একপ্রকার অসম্ভব। তবে চেষ্টা চলছে। দেখা যাক, কী হয়।’

সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ রাজর্ষি রায় চৌধুরী বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি দেখা তো একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। প্রচুর মানুষ দেখছেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার বিশ্লেষণ করে তা বহুবার প্রমাণিত। এই অবস্থায় পর্নোগ্রাফি এভাবে বন্ধ করা যায় নাকি?’

তাঁর বক্তব্য, ‘শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের উপরে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করলেই যে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট দেখা আটকানো যাবে, এমন নয়। এখন ভিডিও শেয়ার করার একাধিক উপায় রয়েছে। রয়েছে একাধিক ভিডিয়ো কলিং সাইট। সেগুলি মনে রাখা প্রয়োজন। কাজেই পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট দেখা থেকে দেশবাসীকে বিরত রাখা এভাবে সম্ভব নয় বলেই মনে করি।’

Bootstrap Image Preview