Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বরখাস্ত হলেন রাজশাহী বার কাউন্সিলের ১৬ আইনজীবী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৮ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির ১৬ সদস্যকে সংগঠনের কল্যাণ তহবিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব আইনজীবী ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বার সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন। এ দীর্ঘ সময় বার সমিতির কল্যাণ তহবিলের ১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৬ আইনজীবীর সবাই বিএনপিপন্থী আইনজীবী ছিলেন।

বার সমিতির বিশেষ এই সাধারণ সভায়  সভাপতিত্ব করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান আলী । সোমবার সমিতির কার্যালয়ে এই সাধারণ সভাতেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  সভায় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হকসহ আরও অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন, বারের সাবেক সভাপতি ও কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, তহবিলের সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ঈশা, বারের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমান; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ তহবিল) পারভেজ তৌফিক জাহেদী, হাবিবুর রহমান-৩, সানোয়ার কবির খান ঈশা ও জানে আলম; সাবেক হিসাব সম্পাদক শামসুল হক, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আবদুর রাজ্জাক সরকার; সাবেক অডিট সম্পাদক আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আদিব ইমাম ডালিম ও মাহবুবুর রহমান রুমন।

বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, সাধারণ সভায় এসব সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তাদের কল্যাণ তহবিলের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা এখন শুধু সহযোগী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। তবে এদের মধ্যে থেকেও জমসেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমানকে তিন বছরের জন্য এবং শামসুল হক, আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আবদুর রাজ্জাক সরকার, মাহবুবুর রহমান রুমন, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আদিব ইমাম ডালিমকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা সহযোগী সদস্য হিসেবেও গণ্য হবেন না।

বরখাস্তকালীন সময়ে এসব আইনজীবী সমিতির কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়। আদালতে আইন পেশা পরিচালনা করতেও পারবেন না তারা। আর টাকা ফেরত দিতে এই ১৬ জন আইনজীবীদের এক মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে । এই সময়ের মধ্যে সমিতিতে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তবে টাকা ফেরত দিলে তারা তাদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সমিতির কাছে আবেদন করতে পারবেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Bootstrap Image Preview