সারা বাংলাদেশে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে আগামী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নদী ভাঙন থেকে দেশকে রক্ষা করা হবে। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
সোমবার টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা ও দেলদুয়ারে ধলেশ্বরী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিবছর যমুনা ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। তাই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে যাতে আর কেউ গৃহহীন না হয়। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সলিমাবাদ ইউনিয়নের খাস তেবাড়িয়া, পাইস্কা ও মাইজাল গ্রামকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা হবে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, আজ হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে তিনটি গ্রামকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে। তাদের প্রাণের দাবি স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ। তাই আগামীতে জরুরি ভিত্তিতে এলাকাকে প্রকল্পের আওতায় এনে বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন উপমন্ত্রী।
যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন ও ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।