দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিনা দোষে তিন বছর কারাভোগের পর জাহালমকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তির পর গণমাধ্যমকে জাহালম বলেন, আমি কোনো অপরাধ না কইরা আজকে তিন বছর দুদক আমারে আটকা রাখছে মিথ্যা মামলা দিয়া। আমি দুদকের কঠিন বিচার চাই।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা ৫৮ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে তার মুক্তি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত বালা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জাহালম তার ভাই ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন। জাহালম কারাগার থেকে বের হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভাই শাহানূর মিয়া।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহালম বলেছেন, ‘এখন আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি তিন বছর পর জেল থেকে বাইর হইছি। আমি কোনো অপরাধ না কইরা আজকে তিন বছর দুদক আমারে আটকা রাখছে মামলা দিয়া, মিথ্যা মামলা দিয়া। আমি দুদকের কঠিন বিচার চাই।
বিনা দোষে তিন বছর কারাগারে আটকে রাখায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে জাহালম বলেন, ‘আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হইছি। আমি ক্ষতিপূরণ চাই রাষ্ট্রের কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’
জাহালম বলেন, ‘জজ স্যাররে বলেছিলাম যে আমি এই মামলার আসামি না। আমি আবু সালেক (প্রকৃত আসামি) না, আমি জাহালম। কিন্তু তিনি আমার কথা বিশ্বাস যায়নি (করেননি)। জজ সাহেব দেখছে যে, এই ছবি আর এই ছবি মিলছে, কয় আমি বলে সেই লোক। আর স্বাক্ষীরা তারাও বলে আমি সেই (আবু সালেক) লোক। কিন্তু আমি তো সেই সময় কোনো কিছু জানি না।’
দুদককে সঠিক তদন্তের মামলার আসামি ধরার দাবি জানিয়ে জাহালম বলেন, ‘দুদক যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়া মানুষরে হয়রানি করতাছে, দুদক হইলো এক নম্বর জালিয়াত। সঠিক তদন্ত না কইরা যানি (যেন) লোক ধরে না তারা। সঠিক তদন্ত নিয়া তারপর লোকদের মামলার আসামি করুক।’
এ ব্যাপারে তার ভাই শাহানূর মিয়া বলেন, যাদের ভুলের কারণে তার ভাই জেল খেটেছে তিনি তাদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চান। পরে একটি মাইক্রোবাসে উঠে দুই ভাই কারা এলাকা ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ জুন জাহালমকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই বছরের ২৭ মে তাকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।