ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন নুরে আলমের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার মসজিদের পাশে মুয়াজ্জিনের রুম থেকে লাশ উদ্ধার করে ভোলা থানা পুলিশ। মুয়াজ্জিন নুরে আলম বাপ্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হত্যা করে এমনভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। যেহেতু পাশে একটি খাট, জানালা, এবং পা দুটি সম্পূর্ণ মাটিতে রয়েছে, তাই এমনটাই সন্দেহ করছে সবাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরেও আযান দেয় মুয়াজ্জিন। এরপরে মসুল্লিরা জামায়াতে নামাজ পড়তে এসে মুয়াজ্জিনকে দেখতে পায়নি। অনেক ডাকাডাকির পরও না পেয়ে মুসুল্লিারা মুয়াজ্জিনের রুমে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সাথে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় লাশ ঝুলছে। এমন অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দিলে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মুয়াজ্জিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২ মাস আগে বিবাহ করে। সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার করছে। তার স্ত্রীর সাথেও কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। পারিবারিকভাবেও কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল না। হঠাৎ করে এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। কেন মারা গেল জানি না। মনে হয় কেউ মেরে এমনভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এলাকাবাসি বলেন, নুরে আলম দীর্ঘ ৮ বছর এই মসজিদে ইমামতি করেছেন কিন্তু কোন প্রকারে কারো সাথে কোন খারাপ আচারণ করেননি। এবং তার সাথে এলাকাবাসিকেও করতে দেখি নাই। তার এই মৃত্যুতে এলাকাবাসি হতাশ।
এ বিষয়ে ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদ হোসেন কবীর জানান, দুপুরের দিকে খবর শুনে দৌড়ে এসে দেখি মুয়াজ্জিনের রুমের জানালার সাথে লাশ ঝুলছে। তারপর থানা পুলিশকে খবরে দেই। মুয়াজ্জিন অত্যান্ত একজন ভাল মানুষ ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছর এই মসজিদে মুয়াজ্জিনের পাশাপাশি নামাজ পড়াত। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যাচ্ছে না।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মর্গের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে মৃত্যুটি মনে হচ্ছে রহস্যজনক। এটা হত্যা, নাকি আত্মহত্যা? এ প্রশ্নের জবাব পেতে আমাদেরকে পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে মুয়াজ্জিনের এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাবাসী হতাশ ও মর্মাহত।