বাতাসে বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সব স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার শহরের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিশুদের নজিরবিহীন বায়ুদূষণের ক্ষতি থেকে বাঁচাতেই এ পদক্ষেপের কথা বলা হলেও কবে নাগাদ স্কুল খুলবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া, নির্মাণকাজ ও কল-কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ সবমিলেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংগঠনের ব্যাংকক প্রধান কাকুকো নাগাতানি যোশিদা মনে করেন, বিশেষ করে কলকারখানার বর্জ্যই যখন মূল কারণ, এই দূষণ এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। থাই প্রশাসনের পদক্ষেপও সমালোচিত হচ্ছে।
বিশ্বের বায়ুর মানসূচক প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) অনুযায়ী, ব্যাংককের বায়ুর মানসূচক (একিউআই) বর্তমানে প্রায় ১৭০। এটি ১৮৫ পর্যন্ত উঠেছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, এটি চরম অস্বাস্থ্যকর। অবিলম্বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে থাই প্রশাসনকে।
দূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে থাইল্যান্ডে। তবে টানা বৃষ্টি ঝরানোর পরও দূষণ সহনীয় মাত্রায় আসেনি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে থাই প্রশাসন পুলিশ নামিয়ে দূষণ সৃষ্টি করে এমন ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করেছে বিষাক্ত বর্জ্য উৎপাদনকারী কলকারখানা। এতে ২ দশমিক ৫ মাত্রার দূষণ কমেছে।
দূষণের কারণে ব্যাংককের প্রতিটি নাগরিক মাস্ক ব্যবহার করছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক আঞ্চলিক কার্যালয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের পক্ষ থেকে থাই সরকারকে সহায়তা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ‘ক্লিন এয়ার কোয়ালিশন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। এ ছাড়া থাইল্যান্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংগঠন জানিয়েছে, প্রতিদিন ৫ মাত্রা করে দূষণ কমানোর চেষ্টা চলছে।