Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিয়ানমারে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:০৩ AM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:০৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সু চি'র শক্তি বাড়াতে সাবেক সেনাপ্রধান ও পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষের স্পিকার উ শোয়ে মানের নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিবেন মূলত সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।

আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকা দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেসামরিক সরকারকে শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির প্রতি অব্যাহত সমর্থন থাকবে তাদের। যদিও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে সেনাপ্রধানের সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা।

দলটির সম্ভাব্য নেতা নিম্নকক্ষের সাবেক আইনপ্রণেতা উ উইন ও বলেন, এখনও দলের নাম ঠিক না করায় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়নি। সম্ভাব্য তালিকায় ইউনিয়ন পার্টি, পিপলস অ্যাফেয়ার পার্টি, ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট পার্টি কিংবা সিটিজেনস পার্টি নামকরণের প্রস্তাব রয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমান লিগাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্পেশাল কেস অ্যাসেসমেন্ট কমিশনের অন্তত চারজন সদস্য থাকবেন ওই দলে।

উ উইন ও বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা তাদের লক্ষ্য না, দেশের জন্য কাজ করতে চান। সেই কাজে যেন কোনও আইনি জটিলতা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে আত্মাপ্রকাশ করতে হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে সে দেশের রাজনীতি বিশ্লেষক ও নিম্নকক্ষের সাবেক আইনপ্রণেতা উ ইয়ে তুন মনে করেন, উ শায়ে মানের দল বেশ খানিকটা জনসমর্থন আদায়ে সমর্থ হলেও নির্বাচনে জয় পাওয়ার মতো আসন নিশ্চিত করতে পারবেন না।

তার মতে, এনএলডি সমর্থকরা কখনোই তাকে ভোট দেবেন না। শুধুমাত্র ইউএসডিপির সাবেক ও হতাশ সমর্থকরা তাকে সমর্থন দিতে পারে যা এনএলডিকেই শক্তিশালী করতে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ডিফেন্স সার্ভিস অ্যাকাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন উ শোয়ে মান। দ্রুত পদোন্নতি পেতে থাকেন তিনি। ২০১০ সালে সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন। একসময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী তার নিয়ন্ত্রণে ছিল।

উ শায় মানকে তখন তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মনে করা হত। অবসরের পর ২০১০ সালে তিনি ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) দলের হয়ে নির্বাচন করেন এবং নিম্নকক্ষের স্পিকার নির্বাচিত হন।

২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট উ থেন সেনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে পার্টির নেতৃত্ব হারান তিনি। সে বছর নির্বাচন করলেও এনএলডির কাছে হেরে যান।

Bootstrap Image Preview