ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোর বাড়িতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিশেষ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আকস্মিকভাবে তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছেন গুয়াইদো।
তিনি বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে জানতে না পারলেও তার স্ত্রী ও সন্তানকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, যে মুহূর্তে আমি এই পোস্ট দিচ্ছি তখন আমার স্ত্রীর ফ্ল্যাটে মাদুরোর স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্স অবস্থান করছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমার মেয়ের কিছু হলে মাদুরো দায়ী থাকবেন।
গুয়াইদো এই পোস্ট দেয়ার পর তাকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার কোনো ক্ষতি হলে মাদুরো সরকারকে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার কারাকাসের সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের গুয়াইদো বলেন, মাদুরোকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে উত্খাত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের হুমকি দেয়ার ঘটনা এরই লক্ষণ।
গুয়াইদো বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা ‘স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্স (এফএইএস)‘ এর সদস্যরা তাকে আগেভাগে কোনো নোটিশ না দিয়ে ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর খোঁজ করে। সে সময় তার স্ত্রী তাদের ২০ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। আর তিনি ছিলেন বাড়ির বাইরে। একনায়ক শাসকরা ভাবছে তারা আমাদের ভয় পাইয়ে দেবে। এখানে আসার আগেই আমি ওই ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু শুরুতেই সে কথা বলিনি। সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনীর নাম নিয়ে গুইদো বলেন, আমার ২০ মাসের সন্তানকে কোনোরকম ভয়ভীতি দেখানো হলে আপনাদেরকেই আমি দায়ী করব। পরে এক কূটনীতিককে সঙ্গে নিয়ে গুয়াইদো বাড়ির পথে রওনা হন।
এদিকে, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়ার সপ্তাহখানেক পর ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তার দেশকে আরেকটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করতে আমি মার্কিন জনগণের সমর্থন চাচ্ছি।