ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা শিবপুর দারুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী এছমত আরা প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম পূরণ হয়নি। এতে এ শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের সুপার, শিক্ষক একে অপরকে দায়ী করছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়ছে। এ দায় কার? কে নিবে এ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব?
এছমতা আরা বেগমের মা নুরজাহান জানান, আমার মেয়ের দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: ইদ্রিস তার মাদ্রাসার পিয়নকে আমাদের বাড়িতে পাঠায়। ফরম ফিলামের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি ৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে পরদিন মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারকে না পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক (বিপিএড) মোঃ আবুল হোসেন তুহিনের কাছে ফরম ফিলাম বাবদ ৩ হাজার টাকা জমা দেই। মেয়ে পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) মেয়ে প্রবেশপত্রের নির্ধারিত ৭শ' টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার প্রবেশপত্র চাইলে সুপার জানান আমার মেয়ের নাকি ফরম পূরণ হয়নি। এতে আমার মেয়ে কান্না কান্না করতে করতে বাড়িতে আসে। আমার মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরে আমি সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিনকে অবহিত করলে তিনি রাতে বাড়িতে এসে কথা বলবেন বলে জানান। আমার মেয়েটি পরিক্ষা দিতে পারবে না জানতে পেরে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছি।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিন জানান, সহকারী শিক্ষক আকতার হোসেনের কাছে এ ছাত্রীর ফরম পূরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা রেখে সুপারকে অবহিত করে ট্রেনিংয়ে চলে যাই।
এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার মাওলানা মোঃ ইদ্রিস জানান, এ ছাত্রীর ফরম পূরণ বাবদ সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিন কোন টাকা জমা দেয়নি।