চলতি বিপিএলের শুরু থেকেই বল হাতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কুমিল্লা ভেক্টোরিয়ান্সের ডান-হাতি পেস বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই একটা ম্যাচ ছাড়া প্রায় প্রতি ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পুরুস্কার হিসাবে ইতোমধ্যে পেয়ে গিয়েছেন আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে জাতীয় দলের টিকিট। আজ ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে তাঁর আগুন ঝরা বোলিংয়ে এক রানের জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভেক্টোরিয়ান্স।
বোলিংয়ের শুরু থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে চেপে ধরেন। কোন ভাবেই রান দিতে চান না এই কৃপণ বোলার। বিশেষ করে ডেথ ওভারে ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এই তরুণ পেসার।
আজ ঢাকার বিপক্ষে খেলার ১৮তম ওভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ-হাতের আঙুলে চোট পান সাইফউদ্দিন। তাঁর পর কিছু সময়ের জন্য মাঠের বাহিরে চলে যান। এরপর শেষ ওভারে তাকে দলের প্রয়োজন পড়ে। কারণ তখন ছয় বলে ঢাকার ১৩ রান দরকার ছিলো।
ঢাকার জন্য এই ১৩ রান কোন ব্যাপারই ছিলো না কারণ তখন উইকেটে ছিলেন টি-টোয়েন্টির দানব আন্দ্রে রাসেল। এমন সময় বাঁ- হাতের ব্যথা অপেক্ষা করে বোলিং করতে আসেন সাইফউদ্দিন।
দুর্দান্ত বোলিং লাইনে বল করে রাসেলকে বোকা বানালেন। প্রথম তিনটি বল ডট হওয়ার পর রাসেল একটি ছক্কা হাকান এরপর শেষ বলে একটি চার মারতে সক্ষম হয় এক শক্তিশালী ব্যাটসম্যান। ফলে ১ রানের জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে কুমিল্লা।
দলকে এই জয় এনে দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে প্রেসকনফারেন্সে আসেন সাইফউদ্দিন। সেই সময় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। শেষ ওভার বোলিং করার সময় আপনার প্লান কি ছিলো?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই প্ল্যান নিয়ে আগায়। আমার প্ল্যান ছিল ওয়াইড ইয়র্কার। তবে রাসেল পাওয়ার হিটার, সে ভালো ছয় মেরে দিয়েছে। যেহেতু ওয়াইড ইয়র্কার হয়নি তাই লাস্ট বল ১০০% ইয়র্কার করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হল, মুস্তাফিজ একই রকম একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে। আমি এগুলো অনুভব করছিলাম। মুস্তাফিজ আমার বয়সী। ও পারলে আমি কেন পারব না। এই জিনিসটা মাথায় রেখে আমি বল করে সফল হয়েছি।
ফিল্ডিং করার সময় বাঁ-হতে ব্যথা পেয়েছেন । ইনজুরি নিয়ে শেষ ওভার বোলিং করার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা আমার ঘরের মতই। আমাকে যখন কেউ চিনত না আন্ডার-১৯ থেকে, তখন ওরা আমাকে পিক করে। সুযোগ দেয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। শুরুতে ভালো করি নি তবুও ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দিয়েছে। আজ আমি সাইফউদ্দিন বিপিএলে ইস্টাবলিস্ট হয়েছি। এই জন্য সামান্য ব্যথা পেলেও টিমের জন্য পারফর্ম করার। সামনে সুযোগ হলে আবার করব।