Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নাবিলাকে হত্যার পর তারই জানাজায় তুষার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:৫৯ PM
আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৪১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কুমিল্লায় শিশু নাবিলা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইরফানুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক মেহেরাজ হোসেন তুষার (২০)

জানা যায়, শিশু নাবিলাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে তুষার। এর পরদিন তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল ঘাতক তুষার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, মামলাটি ডিবিতে আসার পর ডিবির একটি টিম এলাকায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ঘাতক তুষারের সম্পৃক্তার প্রমাণ পেয়ে বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তুষারকে আদালতে হাজির করার পর সে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখে উত্তেজিত অবস্থায় নাবিলাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার পর ঠান্ডা মাথায় মরদেহ গুম করা, শোকাহত স্বজনদের সঙ্গে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও জানাজায় অংশ নেয়ার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই সহিদার রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে তদন্ত ও আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তুষার। তাই তদন্তে ঘটনার রহস্য উৎঘাটন হওয়ায় শিগগিরই আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।

জানা যায়, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নাবিলা আক্তারকে (৪) একই এলাকার ডা. আলী আশ্রাফের ছেলে মেহেরাজ হোসেন তুষার (২০) একটি নিমার্ণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় নাবিলা চিৎকার শুরু করলে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ওই ভবনের একটি রুমে সিমেন্টের বস্তার নিচে গুম করে রাখে। পরদিন স্থানীয়রা সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

Bootstrap Image Preview