একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা গ্রাম সর্বত্রই বইছে আলোচনার ঝড়। কে কোন দল থেকে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী এ নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে নানান জল্পনা কল্পনা। সেই সাথে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান হিসেবে-নিকেশ।
তবে শ্রীমঙ্গলে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় বিভিন্ন জনের নাম আসলেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আফজল হক।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার তৃণমূলের মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত ও পছন্দের একজন মানুষ। রাজনীতি আর ব্যবসা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যেও কিছুটা অবসর পেলেই তিনি ছুটে চলেন উপজেলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে, খোঁজ খবর নেন প্রত্যেকের। কে কি করছেন? কার আর্থিক অবস্থা কেমন এমনকি যারা আর্থিকভাবে অসহায় তাদের পাশে আর্থিক সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়ান তৃণমূলে জনপ্রিয় এই তরুণ নেতা।
ভুনবীর এলাকার বাবুল দাস এবার নতুন ভোটার সে জানায়, উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন দরকার। দরকার তারুণ্যের হাতে নেতৃত্ব। সেদিক থেকে আফজল হক তার পছন্দের তালিকায়। তার প্রথম ভোটটিও এবার আফজল হককে দিবে বলে জানায় সে।
দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত তিনি। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে আওয়ামী কৃষক লীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের সাধ্যের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এ রাজনৈতিক নেতা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে অবধান রেখেছেন ঐতিহ্যবাহী আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সনের ইউনিয়ন নির্বাচনে শ্রীমঙ্গল তিন নং সদর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে লড়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। তৎসময়ে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি স্বর্ণ পদক অর্জন করেন।
একান্ত আলাপে আফজল হক বিডিমর্নিংকে জানান, আল্লাহর মেহেরবানীতে আমার প্রচুর অর্থ-বিত্ত রয়েছে তাই আমি চাই বাকিটা জীবন এলাকার সাধারণ অসহায় মানুষগুলোর সেবা করে জীবন কাটিয়ে দিতে। ইতোমধ্যে গ্রামে গ্রামে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশা পাশি ভোটারদের দোয়া প্রার্থনা করছেন তিনি। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সারা পেয়ে বেশ উচ্ছসিত তিনি।
তাছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করাসহ অংশ নিচ্ছেন নানান সমাজসেবামূলক কাজেও।প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রার্থীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে ও বিভিন্ন কর্মীসভার আয়োজনের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করেছেন।
এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই গ্রামে গঞ্জে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ইতোমধ্যে হাত মেলাচ্ছেন, দোয়া প্রার্থনা করছেন।
আগামী মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন খবরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে চায়ের দেশ খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম একটি উপজেলা এই শ্রীমঙ্গলের রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচনী মাঠ দখল এবং দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।তবে এখনো এই উপজেলায় নীরব ভূমিকায় বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো।