বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকূপ (সেচযন্ত্র) স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে ২৬৩ কৃষক।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা সেচযন্ত্রের অনুমোদন দিয়েছেন।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি, বিএডিসি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে (ক্ষুদ্রসেচ) সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৭০০ কৃষক উপজেলা সেচ কমিটির নিকট আবদেন করে।
অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা সেচ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসউদুল করিম রানার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৭০০ কৃষকের সেচযন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন ঝুলে ছিল।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধুনটে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ, বিদ্যুত চালিত সেচ যন্ত্রের অনুমতি পাচ্ছে না ৭০০ কৃষক-শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
সংবাদটি ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি গত ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সেচ কমিটির সভার রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন। এতে করে আবেদনকৃত ৭০০ কৃষকের মাঝে ২৬৩ কৃষক অগভীর নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে।
ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, কৃষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে ২৬৩টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কৃষকের আবেদনগুলো খাতিয়ে দেখে অল্প দিনের মধ্যে সেচ কমিটির সভা করে অনুমোদন দেওয়া হবে।