স্কুলে একই ক্লাশে পড়ে তারা। পাশাপাশি বসা ছেলে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলেছিল দুই মেয়ে কিশোরী৷ এটাই ছিল তাদের ‘অপরাধ’৷ এজন্য প্রথমে হাত-পা বেঁধে লোহা দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। এরপর তাদের মল ও মূত্র খাওয়ানো হয়। ভারতের উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গেছে এই দুই মেয়ে সম্পর্কে দুই বোন৷ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ওই দুই কিশোরী৷ তাদের দুজনকে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলা দেখে ফেলে এলাকার মানুষ। তারপর তারা জানায় স্থানীয় মাতবরদের।
স্থানীয়দের দাবি, মেয়ে হয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলা ‘অপরাধ’! এরপর তাদের দুজনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য গ্রামে সালিশি সভা বসে৷ মাতবরদের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের দুজনকে বেঁধে রাখা হয়। এরপর গরম লোহা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছেঁকা দেওয়া হয়। পরিবারের লোকের কোনও আপত্তিতে কান না দিয়ে ‘ভুল’ কাজ করার জন্য রীতিমতো মলমূত্রও খাওয়ানো হয় দুজনকে৷
এমনকি, গ্রামের মাতবররা ওই দুই কিশোরীকে এলাকা ছাড়া করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে৷ বাধ্য হয়ে ওই দুজনকে নেপাল সীমান্তে ছেড়ে দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা।
এদিকে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে অত্যাচারের কথা৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কানে পৌঁছায় এই ঘটনার খবর৷ কিশোরীদের খোঁজখবর নেন ওই সংস্থার কর্মীরা৷ নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা৷
বালিকা দুজন জানায়, দুই কিশোরের সঙ্গে কথা বলার জেরেই তাদের ওপর এমন নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে৷ আপাতত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হেফাজতেই রয়েছে ওই দুই বালিকা৷ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তারা৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷