Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রীমঙ্গল উপজেলা: চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে রণধীর কুমার দেব

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৪৭ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা গ্রাম সর্বত্রই বইছে আলোচনার ঝড়। কে কোন দল থেকে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী এ নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে নানান জল্পনা কল্পনা। সেই সাথে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান হিসেবে-নিকেশ।

তবে শ্রীমঙ্গলে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় বিভিন্ন জনের নাম আসলেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু রণধীর কুমার দেব।

মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মোতালিব মিয়া জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাবু রণধীর কুমার দেবই এক মাত্র যোগ্য প্রার্থী। সৎ এবং নির্লোভ এবং পরীক্ষিত একজন নেতা। বাবু রণধীর কুমার দেব টানা তিনবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন এখন টানা দুবার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।

রাজঘাট চা বাগানের চা শ্রমিক রমেশ হাজরা বলেন, ঝড় তুফানের দিনে আমাদের অনেকেরই বাড়ী ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্থ চা শ্রমিকদের বাড়ী ঘর নির্মাণের জন্য রণধীর বাবু আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন। তাই বাবু রণধীর কুমার দেবকে আমরা সকল চা শ্রমিকরাই পছন্দ করি,  তাই এবারের নির্বাচনেও আমরা চা শ্রমিকরা অতীতের মতো বাবুকেই ভোট দেবো।

উল্লেখ্য, বাবু রণধীর কুমার দেব ইউনিয় পর্যায়ে চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে চা শ্রমিকদের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়াতেন। একটা লম্বা সময় চা বাগানে বসবাস করার সুবাধে চা শ্রমিকদের দুঃখ কষ্ট তিনি নিজ চোখে দেখেছেন এবং ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। আর এ সমস্ত কারণে চা শ্রমিকরা বাবু রণধীর কুমারকে অন্ধের মতো ভালোবাসেন। নিজেদের প্রকৃত অভিভাবক মনে করেন।

এই উপজেলায় যেকোনো নির্বাচনে চা শ্রমিকদের ভোট একটা বড় ফেক্টর হিসেবে কাজ করে। আর এসমস্ত চা শ্রমিকরা বাবু রণধীর কুমার দেবকে ছাড়া কিছু বুঝেন না। চা শ্রমিক ছাড়াও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত উপজেলায় তিনি একজন গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করলেও বিএনপির প্রচুর ভোট পান তিনি।

এমনই একজন বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী আব্দুল আহাদ তিনি বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু রণধীর দাদার নির্বাচনে আমি ব্যক্তি হিসেবে দাদার জন্য কাজ করি। শুধু আমার পরিবারের ভোট দেই এমন নয় বরং রণধীর দাদার নির্বাচনে আমি হেটে হেটে ভোট চাই দাদার জন্য। তিনি জানান, আমি ছাড়াও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন যারা দল নয় বরং রণধীর দাদার জন্য এলাকায় এলাকায় দাদার জন্য নির্বাচনে ভোট চান।

চা শ্রমিক মিমু বাড়ৈ বলেন, গতবছর বজ্রপাতে আমার এক নিকট আত্মীয় মারা যান এ খবর শুনে রণধীর বাবু তাৎক্ষণিক ঝড় তুফানের মধ্যেই চলে এসেছেন সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আমার ঐ আত্মীয়র পরিবারকে সাথে সাথেই আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন। আমি চাই শুধু শ্রীমঙ্গল নয় সারা বাংলাদেশে রণধীর বাবুর মত এমন সৎ নির্লোভ এবং জনসম্পৃক্ত মানুষ গুলোই বার বার নির্বাচিত হয়ে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক।

নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে নবীন ও প্রবীণ সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছে নিজেদের প্রচার প্রচারণা। এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে ইতোমধ্যে ছেয়ে গেছে।

জানা যায়, তিনি উপজেলায় নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ দিন অত্যন্ত সফলতার সাথে উপজেলা আ`লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আ`লীগের প্রভাবশালী একজন সিনিয়র সদস্য। সৎ, বিনয়ী ও দানবীর বাবু রণধীর কুমার দেব সাতগাঁও ইউপির টানা তিন বার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

একই সাথে তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখারও সভাপতি ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সততার সহিত গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে সফলতার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় এমনকি ঢাকার শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক এবং সুশীল সমাজের মানুষদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রকার হামলা-মামলা ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন একাধিকবার।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এ নেতাকেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।

Bootstrap Image Preview