Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শামীম ওসমানকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন সিয়ামের নানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪২ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৪২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


‘বাবা ও বাবা ওরা আমার ভাইরে মাইরা ফালাইছে।’ এইভাবে কাঁদতে কাঁদতে নাতি হত্যার বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরলেন হোসিয়ারী শ্রমিক মিরাজুল রহমান সিয়াম (১৬) এর নানি আলেয়া বেগম।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে রূপার একটি ব্রেসলেট নিয়ে দ্বন্দ্বে সিয়াম নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে হত্যা করে তারই বন্ধুরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিয়াম হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার।

এ সময় সিয়ামের নানি আলেয়া বেগম শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। অন্যদিকে পা জড়িয়ে ধরেন সিয়ামের বাবা সোহেল। এ সময় শামীম ওসমান এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।

মাসদাইর লিচুবাগ এলাকার সিয়াম হত্যার সুষ্ঠ বিচার,হাত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল নিয়ে চাষাড়ার রাইফেলস ক্লাবে শামীম ওসমানের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে তার সঙ্গে দেখা করেন নিহত সিয়ামের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। শামীম ওসমানকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিহত সিয়ামের পরিবার। কাঁদতে কাঁদতে তার পায়ে পড়ে যান সিয়ামের বাবা সোহেল। নাতি নাতি বলে আহাজারি করতে করতে শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরেন নানি আলেয়া বেগম। নিহতের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সিয়াম হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীর সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

এসময় বিচারের আশ্বাস দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকুন আপনারা বিচার পাবেন। আমি দেখছি, কিছু লাগবে না। আমি দেখছি বিষয়টা। আপনারা নিশ্চিত থাকেন আপনারা বিচার পাবেন।’ শামীম ওসমানের আশ্বাসে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান সিয়ামের আত্মীয় ও এলাকাবাসীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি সোমবার শহরের ডিআইটি কলোনী থেকে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করা হয়। সিয়ামের পরিবারের দাবি, আগের দিন ২৭ জানুয়ারি সকালে কাজে যোগ দেয় সিয়াম। রাত নয়টার ছুটির পর সে বাসা ফিরে না আসলে রাত তিনটা পর্যন্ত খোঁজাখোঁজি করেন সয়ামের বাবা। পরের দিন সকালে ডিআইটি কলোনীতে লাশের সন্ধান পেলে সিয়ামের বাবা গিয়ে লাশ সিয়ামের বলে শনাক্ত করেন। সিয়াম হত্যায় এখনো নিলয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে আদালতে স্বীকার করেছে মাত্র একটি বেসলেটের কারণেই সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview