Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩০ AM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩০ AM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বিকেল ৩ টায় শুরু হচ্ছে। বিএনপি ও গণফোরামের আট সংসদ সদস্যকে বাইরে রেখেই এ অধিবেশন বসছে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন এবং একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন।

এদিকে অধিবেশন সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথমদিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নতুন সংসদের প্রথমদিনের অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং ভিআইপিদের আত্মীয়স্বজনসহ পাঁচ শতাধিক অতিথি উপস্থিত থাকবেন।

ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্র্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সংগৃহীত তালিকা চূড়ান্ত করে আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কোনো অতিথি ওই দিন সংসদে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সংসদের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে, শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রথমদিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। এরপর নতুন স্পিকার শপথ নিয়ে মুলতবি অধিবেশন শুরু করবেন।

দশম সংসদের মতো এ সংসদেও সরকার ও বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে এবং সংসদ প্রাণবন্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নিয়মানুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়।

এ কারণে প্রথমেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীই থাকছেন। ডেপুটি স্পিকার পদে আসছেন নতুন মুখ।

প্রথমদিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ছাড়াও অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন (যদি থাকে), সংসদীয় কমিটি গঠন (যদি থাকে), সংবিধান বা আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট উপস্থাপন (যদি থাকে) ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ।

তবে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রশ্নকাল থাকে না। এবার অধিবেশনে পাঁচটি অধ্যাদেশ উপস্থাপন করা হবে। সংসদ অধিবেশন না থাকায় এই অধ্যাদেশগুলো জারি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এগুলো ক্রমান্বয়ে আইনে পরিণত করা হবে।

এদিন স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেয়া হবে। সংসদে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী প্রত্যেক অধিবেশনেই পাঁচজন করে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী সদস্যকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

দশম সংসদে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারে থাকলেও এবার শুধু বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।

ইতিমধ্যে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।

সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দল দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি জানান।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর গত ৩ জানুয়ারি সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চার ধাপে সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

পরে অন্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। নির্বাচনে জয়ী বিএনপির ছয়জন ও গণফোরামের দু’জন এখনও শপথ নেননি। ফলে তাদের বাইরে রেখেই বসছে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন।

Bootstrap Image Preview