কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ্য গ্রাম পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে টেকসই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে অগ্রসরমান। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত বিশেষ অগ্রাধিকার খাত পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, দারিদ্র্য নির্মূল, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজে কার্যালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও জার্মানের রাষ্ট্রদূত পিটার থমাস ফারেন হোল্টাজের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানান। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা হয় এবং কৃষি খাত প্রাধান্য পায়। জার্মানের রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের কৃষি খাত অনেক উন্নত হয়েছে। এ সফল ধারা অব্যাহত রাখতে জার্মান সরকার সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে কৃষিকে আধুনিকায়ন, এখাতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, কৃষি বিজ্ঞানীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতকে আরো উন্নত করতে সহায়তা করা হবে বলে জনান তিনি। কৃষি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে সংসদে আনতে নানা মুখী চেষ্টা করা হচ্ছে। দল ছোট বা বড় বিষয় নয়। নানা প্রতিকূলতা থাকতেই পারে। দল যত ছোটই হোক সংসদে এসে তাদের গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে। শুধু সংসদে কেন সংসদের বাইরেও তারা সমালোচনা করতে পারে।
এছাড়া বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো এবং বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। জার্মানির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, এ বছর আমাদের চাহিদার তুলনায় ৩০ লাখ মি.টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির দিকে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, সামনে ডেলটা প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে থাকবে উন্নত জাতী হিসেবে।