Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংবিধান সংশোধন নিয়ে মুখোমুখি সুচি-সেনাবাহিনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪৯ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল মঙ্গলবার দেশটির সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতার বিরুদ্ধে গত তিন বছরের এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

এই প্রস্তাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অং সান সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে। ২০১৫ সালে নির্বাচনে ব্যাপক বিজয়ের পর সংবিধান নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই পক্ষ।

২০১৭ সালে রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধরপাকড় নিয়ে যখন দেশটির সামরিক ও বেসামরিক নেতারা আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছেন, তখন সংবিধান সংস্কারের এ প্রস্তাব আনা হয়েছে।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিধন অভিযানে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে স্পিকার টি খুন মেইয়াট বলেন, পার্লামেন্টে এনএলডি সদস্য অং কেই এনইউট জরুরি প্রস্তাবটি দিয়েছেন। সংবিধান সংশোধনে একটি সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি।

সামরিক আইনপ্রণেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোং মোং এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও স্পিকার তা প্রত্যাখ্যান করেন। মোং মোং বলেন, এতে সংবিধানের কার্যপ্রণালিবিধি লঙ্ঘন হবে।

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচির এনএলডি দল থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।

২০০৮ সালের সংবিধানের খসড়া সামরিক শাসনের আমলে তৈরি করা হয়েছে। এতে পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ সদস্য সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে রাখার কথা বলা হয়েছে।

সংবিধান সংশোধন করতে হলে পার্লামেন্টে ৭৫ শতাংশ সদস্যের ভোট লাগবে। সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভেটো দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview