মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মাগুরছড়া নামক এলাকার একটি টিলা হতে গত ১ সপ্তাহে ১১টি মূল্যবান সেগুন গাছ কেটে নিয়েছে চোরচক্র।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে কেটে ফেলা দুটি গাছের খন্ডাংশ ও ৩০ বান্ডিল গল্লাবেত উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের মাগুরছড়া এলাকার মুজিব উঠনি নামক টিলার বাগান হতে গত এক সপ্তাহে কয়েক দফায় বনদুস্যরা মেহগনি, চিকরাশি সহ কয়েকটি প্রজাতির ১১টি গাছ কেটে পাচার করে। রবিবার দিবাগত রাতে একই টিলা হতে আরো দুইটি গাছ কেটে ফেলে চোরদল।
পাশাপাশি একই স্থানের ঝোপঝাড় থেকে প্রায় হাজারো গল্লাবেত কর্তন করে আঠা বেধে পাচারের উদ্দেশে রেখে যায় চোরচক্র। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সোমবার সকালে কেটে রাখা দুইটি গাছের খন্ডাংশ ও ৩০ বান্ডিল গল্লাবেত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাছ ও বতে পিকআপ যোগে লাউয়াছড়া বনবিট অফিসে নিয়ে যায়।
লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা জানান, উদ্ধারকৃত গল্লাবেত ও কেটে ফেলা গাছের মূল্য নির্ধারণ করতে না পারলেও ধারণা করা হচ্ছে ৩০ বান্ডিল গল্লাবেত ও ১১টি গাছের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা হবে। কেটে ফেলা এসব গাছের গুড়ায় বনবিভাগ লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখে।
লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ৩০ বান্ডিল গল্লাবেত ও দু’টি গাছের খন্ডাংশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোরচক্র গল্লাবেত কেটে ফেলার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে।
অপরদিকে চিকরাশির কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার পর সোমবার দু’টি গাছের খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গল্লাবেত ও গাছের বাজার মূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন সংরক্ষক আবু মোছা সামছুল মোহিত চৌধুরী বলেন, দু’টি গাছ কর্তনের সংবাদ পেয়েছি এবং সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত গাছের খন্ডাংশ ও গল্লাবেত নিলামে বিক্রি করা হবে এবং এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।