Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাকালুকিতে দুই বছরের ২০ হাজার পাখি কমেছে

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:৫৬ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে গত দুই বছরের ২০ হাজার ৩৫০টি  পাখি কমেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’র (আইইউসিএন) দুই দিনের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে সর্বমোট ৫১ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৯৩১টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে।

গত ২৬-২৭ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে ৪০টি বিলে পাখি শুমারি শেষে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে আইইউসিএন বাংলাদেশ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৮১টি। ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ১শ’টি। এ বছর সে সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯৩১টিতে।

জরিপে হুমকির মুখে আছে এমন ছয় প্রজাতির পাখিও পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়। তার মধ্যে মহাবিপন্ন- বেয়ারের ভুঁতিহাঁস; সংকটাপন্ন- পাতি ভুঁতিহাঁস ও বড়-গুটিঈগল এবং প্রায়-সংকটাপন্ন- মরচেরঙ ভুঁতিহাঁস, ফুলুরি-হাঁস ও কালামাথা-কাস্তেচরা।

পাখিসমৃদ্ধ বিলের মধ্যে নাগুয়াধলিয়া বিল প্রথম (৮ হাজার ৬৭৬টি পাখি) এবং চ্যাতলা বিল দ্বিতীয় (৫ হাজার ৩২৭টি পাখি)। জলচর পাখিদের মধ্যে মাত্র ৪০৫টি সৈকতপাখি পাওয়া যায়।

শুমারিতে অংশ নিয়েছেন ড. পল থমসন, ইনাম আল হক, মোহাম্মদ ফয়সাল, ওমর শাহাদাত, সাকিব আহমেদ, বশীর আহমেদ ও তারেক অণু।

হাকালুকি হাওরের যে ৪০টি বিলে এ শুমারি পরিচালনা করা হয় তা হলো-  হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড়। 

যার মধ্যে রোতি, বালিজুড়ি, নাগুয়াধলিয়া বিলে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্ডস ক্লাব।

Bootstrap Image Preview