Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন চান আফজল হক

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৪ PM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


সদ্য সমাপ্ত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই ঘরের দরজায় করা নেড়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন ও দোয়া নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান আফজল হক। 

জানা যায়, ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা আফজল হক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সফলতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

বিএনপি-জামাত ক্ষমতাকালীন সময়ে অনেক অত্যাচার-নির্যাতনসহ অসংখ্য মিথ্যে মামলার শিকার এ নেতা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। তাই কোনো বাধাই আমাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় জনগণের সেবা করে আসছি। বাকিটা জীবনও জনস্বার্থেই জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই।

পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের বিপদ-আপদে প্রতিনিয়তই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এ নেতা। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা সামাজিক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ক্ষমতায় না থেকেও তিনি বিভিন্নভাবে অবধান রেখে চলেছেন।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয় পেলে এবং জয়ী হলে এলাকার জন্য কি কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আফজল হক জানান, আমাদের দেশে এখন প্রধান সমস্যা মাদক এবং দুর্নীতি আর এ দুটি বিষয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে যা ইতোমধ্যেই মিডিয়ার বদৌলতে দেখতে পাচ্ছেন। জননেত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্থানীয় ছয়বারের নির্বাচিত জননন্দিত উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে আমি মাদক আর দুর্নীতি মুক্ত একটি উপজেলা হিসেবে তৈরী করে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে উপহার দিতে চাই। মাদক আর দুর্নীতির সাথে যারাই জড়িত থাকবে হোক সে আমার আত্মীয় এ বিষয়ে কাউকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, পর্যটনে শ্রীমঙ্গল সারাবিশ্বে পরিচিত হলেও এখনো অনেক কাজ করার বাকি রয়েছে। আমি চেষ্টা করবো পর্যটনে শ্রীমঙ্গল আরো এগিয়ে যাক আর তার জন্য যা কিছু করতে হয় আমি করতে প্রস্তুত বলে জানান এ নেতা।

মির্জাপুর এলাকার তরুণ ভোটার শিক্ষার্থী আবু সালেহ বলেন,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান মন্ত্রণালয়েও তারুণ্যের জয় গান, তিনি বলেন আমি বিশ্বাস করি তরুণদের হাতে নেতৃত্ব আসলে দুর্নীতি কমতে বাধ্য আর যতদূর জানি আফজল ভাই এমনিতেই আর্থিভাবে সচ্ছল। তাছাড়া তার সবচেয়ে বড় গুন যেটি তা হলো তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। আমি আফজল ভাইয়ের একান্ত ভক্ত। আবু সালেহ বলেন জনগণের সেবা এবং এলাকার উন্নয়নের জন্যই তিনি ফের নির্বাচনে আসতে চান।

তরুণ এ শিক্ষার্থী বলেন, একজন মেধাবী এবং পরোপকারী মানুষ হিসেবে শুধু আমার ভোট নয় আমার পরিবারের সবকটি ভোট আফজল ভাই পাবে এটা প্রায় নিশ্চিত।

ভুনবীর এলাকার বাবুল দাস বলেন, আপোষহীন স্বচ্ছ মানুষের হাতে নেতৃত্ব আসলে দ্রুত দেশ এগিয়ে যাবে সে হিসেবে ক্লিন ইমেজধারী পরোপকারী সাহসী মানুষ হিসেবে আমি আফজল ভাইকেই সমর্থন করি।

সিন্দুরখান এলাকার সেলিম মিয়া পেশায় একজন কৃষক, তিনি জানান,আফজল চেয়ারম্যান খুব ভালো একজন মানুষ। তার পিতা ময়না মিয়াও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে ছিলেন। আর সেই পরিবারের মানুষ আফজল চেয়ারম্যান তিনিও খুব স্পষ্টবাদী মানুষ। আফজল চেয়ারম্যানের জন্য আমার দোয়া ছিল এখনো আছে। 

আলাউদ্দিন মিয়া উপজেলার সরকার বাজারে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন! আলাপ হয় তার সাথে সে জানায়,আফজল চেয়ারম্যান সাহেবের অনেক সুনাম শুনেছি!তিনি স্পষ্টবাদী এবং সাহসী। তাছাড়া তিনি পরোপকারী মানুষ। পূর্বের মতোই মানুষের সেবা করার জন্যই তিনি নির্বাচন করতে চান। তার যে সম্পদ আছে তা শেষ হবার নয়!তিনি টাকা উপার্জনের জন্য নয় বরং নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করবেন এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

চা শ্রমিক ললিতা বাড়ৈ জানান,আফজল চেয়ারম্যান একবার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন এবং আমার মতো এই গরিবের ঘরে তিনি ভাতও খেয়েছেন। এমন লোকই আমাদের দরকার, যারা আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে খোঁজ খবর রাখবেন। আফজল চেয়ারম্যান চা শ্রমিকের সন্তানদের অর্থ দিয়ে পড়াশুনার জন্য সহযোগিতা করেছেন। তিনি সত্যিই খুব ভালো মানুষ। 
 

Bootstrap Image Preview