Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৈয়দপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক ৫

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৯ AM
আপডেট: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক দম্পতিকে কুপিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাতক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিরা হলন উপজেলার বালাপাড়া এলাকার আসলাম হাজী (৬৫), তার ছেলে লাবু (৪০), সজল (৩০), কাজের মেয়ে রহিমা (৩০) ও প্রতিবেশী রশিদুল ইসলাম (৪০)।

এর আগে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকায় একটি খামারবাড়িতে দম্পতিক হত্যা করা হয়। এ সময় আব্দুল রাজ্জাক নামে খামারের এক কর্মচারী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত রাজ্জাক বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল, সৈয়দপুর থানার ওসি শাহাজান পাশা,  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৫৬), তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন (৪৫) ও দুই ছেলেকে শহরের উল্লিখিত এলাকায় বসবাস করতেন। ঘটনার ৪/৫ দিন আগে ওই দম্পতি তাঁর ছেলের গড়ে তোলা খামার দেখাশোনার জন্য যান।  ঘটনার রাতে এক নৈশ প্রহরীসহ তারা  (দম্পতি) খামারেই অবস্থান করছিলেন।

গভীর রাতে দুস্কৃতিকারীরা ওই খামারে প্রবেশ করে  তাদের ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় খামারের নৈশ প্রহরী রাজ্জাককেও গলায়, মুখে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুস্কৃতিকারীরা।  সকালে খামারে আসা এক কাজের মেয়ে  গিয়ে ওই দম্পতিকে খামারের  ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুঁটে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা খুনের শিকার দম্পতির মোবাইল ফোন থেকে তাদেও ছোট ছেলে স্বপনকে কে বা কাহারা খবর দেয় যে তাঁর বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে।  
 

নিহত দম্পতির বড় ছেলে সোহেল রানা জানান, তাদের খামারের জমির মালিক এলাকার সম্পদশালী হাজী¦ মো. আবু আসলাম। সে প্রায় দুই বছর আগে হাজী আবু আসলামের  কাছে ওই জায়গা গবাদিপশুর খামার করার জন্য ৫ বছরের জন্য তিন লাখ টাকায়  বরাদ্দ নেয়। এরপর সেখানে থাকার জন্য একটি  দু’চালা টিনের ঘরসহ হাঁস- মুরগী, ভেঁড়া ও গরু -  ছাগল পালনের জন্য খামারে বিভিন্ন অবকাঠোমো তৈরি করেন। শুরু থেকে নৈশ প্রহরী রেখে ও কেয়ারটেকার নিয়ে খামারটি পরিচালনা করে আসছিলেন  সে (সোহেল রানা)।  তবে বেশ কিছুদিন থেকে তাঁর বাবা নজরুল ইসলাম মাঝে মধ্যে গিয়ে সেখানে থাকতেন। গত ৪/৫ দিন আগে তাঁর বাবা-মা গিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন।
 

সোহেল রানা বলেন, আমার  কিংবা বাবা-মার সঙ্গে কারো কোন রকম দ্বন্দ্ব ছিলনা। কিন্তু তারপরেও কে বা কাহারা, কেন তার বাবা-মাকে এমন নৃসংশভাবে হত্যা করেছে তা অনুমান করতে পারছিনা। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাজাহান পাশার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দম্পতি হত্যাকান্ডের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিলেছে। আশা করি দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হবো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল)অশোক কুমার পাল বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় রবিবার দুপুরে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview