Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আশরাফ আলীকে চাই করিমগঞ্জবাসী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:২৬ PM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে। যার কারণে ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আর সদ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রার্থীর ব্যাপক ভরাডুবির পর হতাশা এবং দলের অগোছালো অবস্থা থাকার কারণে কারো নামই শোনা যাচ্ছে না।

আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪৯১টি উপজেলার মতোই সরব হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফ আলী। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং দলের জন্য তার ত্যাগের কারণে এবার এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায় এলাকার জনগণ।

ছাত্রলীগের এ নেতার প্রচার-প্রচারণায় সরবও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল, শুভাকাঙ্খীরা আশরাফ আলীকে নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়ে তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। এছাড়াও তাকে নিয়ে বিভিন্ন পেজ গ্রুপ খুলে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ তালিকায় বিশেষ করে তরুণরাই এগিয়ে রয়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছাত্রলীগের এ নেতার পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে। এছাড়াও  নিয়মিত নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী এই প্রার্থী। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। চাইছেন মূল্যবান ভোট ও দোয়া। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানসহ খেলাধুলায় নিয়মিত মুখ তিনি। এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সাহায্য-সহযোগিতায় পাশে থাকছেন ছাত্রলীগের এ নেতা। প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবরও রাখছেন।

স্থানীয়দের দাবি, সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন আশরাফ আলী। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে বিপদগ্রস্থ মানুষদের সাহায্য করেন তিনি। একজন সৎ মানুষ হিসেবে তরুণরা তাকে খুব ভালবাসে। তার কাছে ছোট বড় কোনো ভেদাবেদ নেই। আর এ কারণেই বড়, ছোট, ধনী দরিদ্র সবাই তাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পেতে চায়।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, আশরাফ আলী দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। রাজনীতি শুরুর সময় থেকেই দলের পাশে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক লুতফর রহমান নয়ন বলেন, রাজনীতির শুরু থেকেই আশরাফ ভাইয়ের সাথে কাজ করছি। কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তার গ্রামের বাড়ি করিমগঞ্জের মানুষের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। তিনি সবসময় ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি আমি।বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছি। এখন যদি নিজ এলাকা করিমগঞ্জবাসীর সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে সেটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে আশরাফ আলী

মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইচ্ছা পোষণ করে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, ছোটবেলা থেকেই দুর্নীতিমুক্ত ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশের সপ্ন দেখতাম। আর যদি কাজ করার সুযোগ পাই তাহলে সাধারণ মানুষদের দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করিমগঞ্জ উপহার দেব। ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করব। কারণ দেশকে উন্নতির শেখরে পৌঁছাতে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে হবে।

‘চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন’ যোগ করেন ছাত্রলীগের এ নেতা।

কিশোরগঞ্জের তরুণদের প্রিয় মুখ আশরাফ আলী আরও বলেন, কাজ করার সুযোগ পেলে স্থানীয় সরকারের আওতায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাই হবে আমার প্রধান উদ্দেশ্য।

‘আমরা একটাই লক্ষ্য, করিমগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নে অবদান রাখা। আলোকিত একটা উপজেলা গঠনে আমিও কাজ করতে চাই’ যোগ করেন তিনি।

নিজ দল নিয়ে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, কিছুটা বিচ্ছিন্নতা থাকলেও কর্মীরা দলের প্রতি কমিটেড। অতীতে যারা ছিলেন তারা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নাই। তাই নেতৃত্বে তরুণদের চাওয়া নতুন প্রজন্মসহ সিনিয়র নেতাকর্মীদের।

প্রতিপক্ষের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, অন্যান্য এলাকার অবস্থা জানি না। আমার এলাকায় সৌহার্দ ও ভাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ সবসময় বিরাজমান। সামাজিক-পারিবারিকভাবে আমরা সকলেই একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও প্রচার-প্রচারণায় আমার জন্য যতটুকু সুযোগ থাকবে প্রতিপক্ষও তেমনটাই পাবেন।

এ সময় অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ছাত্রলীগের এ নেতা।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে আশরাফ আলী বলেন, করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে অনেকেই মনোনয়নের আশায় রয়েছেন। যাদের অধিকাংশের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। উদাহরণ হিসেবে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, ‘গত উপজেলা নির্বাচনে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তিনি বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

‘১২ বছর আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংঘটনের সাথে রাজনীতিতে জড়িত না থাকলে মনোনয়ন দেওয়া হবে না’ দলের নতুন এই নিয়ম উল্লেখ করে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশী এই দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না।

তৃণমূলে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ড তাকেই মনোনয়ন দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা ছাত্রলীগের এ নেতা।

মনোনয়নপ্রত্যাশী আশরাফ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের প্রতি আস্থা রেখে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন। আমিও আশা রাখছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর ভরসা রেখে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দিবেন।

যদি দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে কি করবেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ আলী বলেন, সবকিছু পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যদি দলের প্রার্থী বিতর্কিত হয় আর এলাকার মানুষজন যদি চায় তাহলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারি।

এ বিষয়ে একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত কর্মী যারা, দুর্দিনে যারা পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করেছে তাদেকে এবার তাদের মূল্যায়ন করা হবে। দলের কোন কর্মীকে ভুলে যান না সভাপতি শেখ হাসিনা। তার সঠিক মূল্যায়ন করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আশরাফ আলী কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদেরও যুগ্ম সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন ।

এছাড়াও প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন মোঃ আশরাফ আলী। করিমগঞ্জ তাড়াইল ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। করিমগঞ্জ রাবেয়া খাতুন মহিলা মাদরাসার সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

Bootstrap Image Preview