নাটোরের সিংড়ায় টিসিকে ঘুষ না দেয়ায় বেতন হয়নি আনন্দ স্কুলের ৮ শিক্ষকের। দফায় দফায় এসব শিক্ষকরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ইউএনও'কে অভিযোগ করেও কোন ফলাফল পায়নি তারা। উপরন্তু তাদেরকে নানা অজুহাত দিচ্ছে টিসি।
জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ২০১৪ সালে রস্ক প্রকল্পের আওতায় ১২৭ টি আনন্দ স্কুল কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে সম্প্রতি ৬৪টি স্কুলের মেয়াদ ৫ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। এর মধ্যে ৫৬টি স্কুলের বেতন দেয়া হলেও বাকি ৮টি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয়নি।
লক্ষিকোলার খাদিজা, খরজগাড়ির মাহমুদা, মৌগ্রামের লিলি, ধুরশন গ্রামের চন্দনাসহ ৮ টি স্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘ এক মাস যাবত ঘুরে ঘুরেও বেতন পায়নি। এসব স্কুলের প্রত্যকটি তিন মাসের বেতন ১৫ হাজার, উৎস ভাতা ৫ হাজার, বাড়ি ভাড়া ১৫'শ টাকা পাবে।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, টিসি তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার করে টাকা চেয়েছে, না দেওয়ায় তাদের বেতন হয় নি।
তবে এ বিষয়ে টিসি মেহেরুন নেসা বলেন, আমি টাকা নিয়েছি তাদের স্বার্থে। তবে আমার চাকরির মেয়াদ শেষ, তাদের বেতন দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
শিক্ষক মাহমুদা বলেন, আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার করে টাকা চেয়েছে। না দেয়ায় এখন পর্যন্ত বেতন ছাড় হয়নি।
শুধু মাহমুদা নন তার মত খাদিজা, রবিউল, চন্দনা, লিলিও জানায়, যারা তাকে টাকা দিয়েছে তাদের বেতন হয়েছে। আমরা দিতে পারিনি তাই আমাদের বেতন দেয়নি।
জানা যায়, টিসি মেহেরুন নেসা শিক্ষকদের হুমকি, ধামকি দিয়ে প্রতি তিনমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। কেউ টাকা না দিলে তদন্ত করে স্কুল বন্ধের হুমকি দেন। এ নিয়ে প্রত্যকটি শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ওই শিক্ষকদের বেতন দিতে টিসিকে নির্দেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক মহোদয় ও আমাকে দ্রুত বেতন ছাড়ের জন্য তাগিদ দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।