Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী 'পলো বাওয়া উৎসব' পালিত

পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৫ PM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


সিলেটের বিশ্বনাথে ঝপ ঝপ শব্দের তালে তালে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘পলো বাওয়া উৎসব’ পালিত হয়েছে। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এ পলো বাওয়া উৎসব পালিত হয়।

আজ রবিবার সকাল ১১টায় বিলে মাছ শিকার শুরু হয় চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

গোয়াহরি গ্রামের ঐহিত্য অনুযায়ী প্রায় দু’শত বছর ধরে বংশানুক্রমিকভাবে বাংলা বছরের প্রতি ১লা মাঘ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবছর বিলে পানি বেশী থাকায় ১লা মাঘের পরিবর্তে ১৪ মাঘ অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। পলো বাওয়াকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। এতে অংশগ্রহন করেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ। সকাল সাড়ে ১১টায় হৈ হৈ করে একসাথে পলো-জাল হাতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন সবাই। ঝপ ঝপ শব্দের তালে তালে চলতে থাকে পলো পাওয়া।

প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী এ ‘পলো বাওয়া উৎসবে’ অংশ নেন গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ। গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি ঘর থেকে একজন পুরুষ পলো নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহন করেন। যাদের পরিবারে পুরুষ সদস্য বাড়িতে নেই, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে কোন আত্মীয় মাছ শিকারে অংশগ্রহন করেন। এবছর বিলে অধিক পানি ও কচুরিপানা থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় মাছের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন শিকারীরা। তাই অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হয় ঘরে।

গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী হাজী আব্দুল আহাদ বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমাদের গ্রামবাসী পূর্বপুরুষের আমল থেকে এই উৎসব পালন করে আসছেন। বয়সের কারণে এখন আর পলো বাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারি না। তবে জীবনে ওই বিলে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, ‘পলো বাওয়া’ উৎসব আমাদের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্য। দীর্ঘকাল ধরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা গ্রামবাসী এই উৎসব পালন করে থাকি। এই উৎসবের আনন্দ অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যাবে না।

Bootstrap Image Preview