আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবন গণভবনে ‘শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানালেও সেখানে যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে তাদের গণভবনে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দাওয়াত কার্ড পেয়েছি। তবে সেটা কিসের দাওয়াত, কী জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তা জানি না। তবে গণভবন থেকে কোনও ফোন করা হয়নি।’
তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবনে ‘শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে’ আমন্ত্রণ জানালেও সেখানে যেতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে কোন ইচ্ছে নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গণভবন যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। পরে জোট ও দলীয় ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া কয়েকদিন আগেইতো পিঠা খেয়ে এলাম। আপাতত চা চক্রে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।’
এ বিষয়ে ফ্রন্টের নেতা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা আমি জানি না । এ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৮ আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এ নির্বাচনে মাত্র আটটি আসনে জিততে পারে ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের শুরু থেকেই কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আসছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচকতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কথা বলেনি। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপ হতেই পারে। আমাদের প্রয়োজন হলে পরে সেটা দেখা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসবেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আমন্ত্রণ করবেন, আহ্বান করবেন, নিমন্ত্রণ করবেন। তাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।