জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের পরিবর্তে সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করা ও আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি করা এবং অব্যাহত নারী ও কন্যা ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলদেশ মহিলা পরিষদ (বামপ)।
আজ ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে এ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংগঠটির জাতীয় পরিষদ সভায় আগত ৫৩টি জেলার ৪৬০জন প্রতিনিধিসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দসহ পাঁচ শতাধিক নারীর অংশগ্রহণ করে এ মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ।
বামপ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ বলেন, বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে নারীরা পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পেশাগত বহুমুখী দায়িত্ব পালনসহ রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারী ও কন্যার প্রতি অব্যাহত সন্ত্রাস ও নির্যাতন পরস্পর বিরোধী। তিনি বলেন, নারী ও কন্যার প্রতি নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে। যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন নিপীড়ন বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়ন ও রায়ের আলোকে আইন প্রণয়ন করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় নারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৬ জানুয়ারি শনিবার জাতীয় পরিষদ সভার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ বাৎসরিক মূল্যায়ন ও পরিকল্পনার বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পর্বে সংগঠনের ‘ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র’ বিষয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। বিষয়ভিত্তিক আলোচনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য রাখেন মালেকা বানু, সংগঠন বিষয়ে সাধারণ আলোচনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখীদাশ পুরকায়স্থ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম। সভার সাধারণ প্রস্তাব পাঠ করেন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী।