কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি ইটভাটায় কয়লার ট্রাক উল্টে ১৩ ঘুমন্ত শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ট্রাকচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন ওই দুর্ঘটনায় নিহত রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ভাই সঞ্জিত চন্দ্র রায়।
সঞ্জিত চন্দ্র রায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনিও (মামলার বাদী) ওই ইটভাটায় কাজ করতেন, তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ১৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে নিহতদের পরিবারের মধ্যে রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের ভাই সঞ্জিত বাদী হয়ে (৩০৪ (ক) ধারায়) ওই মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, মামলায় ট্রাকচালক ও হেলপারের নাম-পরিচয় অজ্ঞাত থাকলেও পুলিশ তাদের পরিচয় বের করে অবশ্যই গ্রেফতার করবে।
এদিকে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় নিহতের মরদেহ শনিবার ভোরে নীলফামারীতে পৌঁছার পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন, নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার নিজপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), কামিক্ষার ছেলে অমিত চন্দ্র রায় (২০), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২২), রামপ্রসাদের ছেলে বিপ্লব (১৯), সুনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে তরুণ চন্দ্র রায় (২৫), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), পাঠানপাড়া গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে মাসুম (১৮), নূর আলমের ছেলে মোরসালিন (১৮), শিমুলবাড়ি গ্রামের দ্বিনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণাল চন্দ্র রায় (২১), একই গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), রাজবাড়ি গ্রামের ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কনেক চন্দ্র রায় (৩৫), একই গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮)।