Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটিতে রদবদল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:০১ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:০১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটি পুনর্গঠিত হচ্ছে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পরিবর্তে যুক্ত হচ্ছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খান। দলের সিনিয়র দুই নেতা স্টিয়ারিং কমিটিতে থাকা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করলে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড। ঐক্যফ্রন্টের আগামী বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে। বেশ কিছু সূত্র এমন আভাষই দিয়েছে।

এ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা নিয়ে ধানের শীষ প্রার্থীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। মামলা নিয়ে নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে এগোতে চাইছেন তারা।

প্রার্থীদের একাংশ মনে করেন, বিচারবিভাগে তারা ন্যায়বিচার পাবেন না। এসব মামলায় সরকারের পক্ষে রায় যাবে। যার মাধ্যমে নির্বাচনকে নিয়ে সরকার আরও একটি আইনি সমর্থন পাবে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তারা মামলা না করার পক্ষে।

প্রার্থীদের অন্য অংশের মতে, মামলার রায় যাই হোক না কেন, একটা ডকুমেন্টস থাকবে, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্টিয়ারিং কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে দলটির সূত্রে জানা যায়, বিএনপি স্থায়ী কমিটির দুই জন সদস্যকে নতুন করে স্টিয়ারিং কমিটিতে নেয়ার বিষয়ে শুনেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে এ রকম একটি কথা বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খানকে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য করার বিষয়টি আরও কিছু সূত্রে জানা যায়। তবে ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দু'জনের পরিবর্তে দু'জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

এদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি ও অনিয়মের’ অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আসনভিত্তিক মামলা নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতভেদ। কেউ কেউ মামলা করতে চাইলেও অনেকে মনে করেন, এতে লাভ হবে না। আবার কারও অভিমত- কয়েকটি আসনে প্রতীকী মামলা করা উচিত, এর বেশি নয়। এ অবস্থায় বিএনপির দুই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের শীর্ষ নেতা অথবা ধানের শীষের প্রার্থীদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠক ডাকা হতে পারে।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মামলার বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে তাও ভাবা হচ্ছে। অনেক ধরনের মত এসেছে। সব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে মামলা করা না করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে দলীয় ফোরামে।

Bootstrap Image Preview