Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লাইসেন্স পাচ্ছে ৫০০০ ইজি বাইক 

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৫৫ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


ইজিবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ৫০০০ হাজার ইজি বাইকের লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

এর অংশ হিসেবে নগরীতে ইজি বাইক চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি পাঁচ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নগর সংস্থাটি। এ জন্য ৫০০ টাকার বিনিময়ে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে গত সোমবার। ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ফরম বিক্রি চলবে। তবে নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা (ভোটার) এবং নিজস্ব ইজি বাইক না হলে এই লাইসেন্স মিলবে না।

কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে করপোরেশন নগরীতে চলাচলের জন্য দুই হাজার ইজি বাইকের লাইসেন্স দেয়। পরে এর মধ্য থেকে ৩৭টির লাইসেন্স স্থগিত রেখে এক হাজার ৯৬৩টি ইজি বাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজি বাইকগুলো ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য কেসিসি নবায়ন করে চলাচলের অনুমতি অব্যাহত রাখে। 

২০১৩ সালের শেষের দিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) ইজি বাইকের লাইসেন্স প্রদান বন্ধ রাখতে কেসিসিকে চিঠি দেয়। এর পর থেকে আর কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। কিন্তু নগরীতে ইজি বাইক বিক্রির জন্য যানবাহন ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা অব্যাহত রাখা এবং এই যান বন্ধে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় ওই বাইকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০১৬ সালের ১১ মে খুলনার তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ এক সভা আহ্বান করেন। সভায় নগরীতে ইজি বাইকের সংখ্যা পাঁচ হাজারে নামিয়ে আনা এবং ইজি বাইক বিক্রির শোরুম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু নানা কারণে ওই সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০০৮ সালের ৪ অক্টোবর নগর ভবনে ইজি বাইক ও যানজট নিরসন সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আগের এক হাজার ৯৬৩টি ইজি বাইকের সঙ্গে নতুন করে আরো তিন হাজার ৩৭টি ইজি বাইকের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে ব্যাপারেও পরবর্তী সময়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৫ মে সিটি নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় নগরের সড়ক শৃঙ্খলা বিশেষ করে অতিরিক্ত ইজি বাইকের যন্ত্রণা। বর্তমান সিটি মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম অঙ্গীকার ছিল এই সংকট নিরসন। এরই মধ্যে তাঁর উদ্যোগে নগরীতে বাইরে থেকে আসা ইজি বাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন চলছে লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম।

করপোরেশনের সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার কে এম তাছাদুজ্জামান জানান, পাঁচ হাজার ইজি বাইকের লাইসেন্স দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ইজি বাইকের মালিক আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এই ১০ হাজার ইজি বাইকের মধ্যে যাঁরা চলাচলের অনুমতিপত্র পাবেন তাঁদের অবশ্যই নগরীর বাসিন্দা অর্থাৎ ভোটার হতে হবে এবং নিজস্ব ইজি বাইক থাকতে হবে। কোনো মালিক একাধিক ইজি বাইক নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না।

Bootstrap Image Preview