বঙ্গোপসাগরে নোয়াখালীর ভাসানচর এলাকায় দু'টি পণ্যবোঝাই জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে 'খাজা বাবা ফরিদপুরী' নামের জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে গেছে। ‘এন ইসলাম’ নামে আরেকটি জাহাজও ডুরো ডুবো প্রায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে একঘণ্টার ব্যবধানে কাছাকাছি জায়গায় এ দু'টি জাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দু'টি জাহাজের ১৩ নাবিকের মধ্যে ১২ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, খাজা বাবা ফরিদপুরী জাহাজটি ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। ভাসানচর বয়ার এক নটিক্যাল মাইল পূর্বে গিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। এ জাহাজে ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হয়েছে। একজন নাবিক এখনও নিখোঁজ আছেন।
তিনি বলেন ‘আমাদের নির্দেশনা আছে- কমপক্ষে তিন ঘণ্টার জোয়ারের সময় হাতে নিয়ে যেন ভাসানচর অতিক্রম করা হয়। জাহাজটি দেড় ঘণ্টা সময় নিয়ে ভাসানচর অতিক্রম শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই জোয়ারের পানি কমতে শুরু করলে ভাটার টানে জাহাজটি ডুবে যায়।
এ দিকে ভাসানচরের কাছাকাছি এলাকায় আরেকটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘এন ইসলাম’ নামে একটি জাহাজের তলা ফেটে গিয়ে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মো. সেলিম বলেন, তলা ফেটে জাহাজটি যখন ডুবে যাচ্ছিল, ক্যাপ্টেন সেটিকে চরের কাছাকাছি নিয়ে যায়। সেখানে জাহাজটির বড় অংশ ডুবে গেছে। শুধুমাত্র উপরের অংশটি দেখা যাচ্ছে। জোয়ার এলে সেটিও ডুবে যাবে। তবে এখানে যত নাবিক ছিলেন, সবাই নিরাপদে আছেন।