Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ রবিবার, মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পর্ন ছবির কিছু কঠিন সত্য, যা মানুষের অজানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩০ PM
আপডেট: ২৪ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিশ্বের বিরাট সংখ্যক মানুষ পর্নের প্রতি আসক্ত। কিন্তু এই পর্ন ইন্ডাস্ট্রির কিছু কঠিন সত্য কখনই সামনে আসে না। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো পর্ন ছবির সেই সব কঠিন সত্য সম্পর্কে বিস্তারির যা কখনই সামনে আসে না, থাকে ক্যামেরার পেছনে-

১। পর্নতারকারা ইদানীং যা পারিশ্রমিক পান, তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেন না। বহুক্ষেত্রেই প্রযোজনা সংস্থা বা পরিচালকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। আশি বা নব্বইয়ের দশকেও এই সমস্যাটা ছিল না।

২। একদশক আগেও এই ব্যবসায়ে যা লাভ হত, ইদানীং তা আর হয় না। এর জন্য অধিকাংশ ফ্রি পর্নসাইটকেই দায়ী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃতীয় বিশ্ব থেকে ক্রমাগত এমএমএস আপলোড পর্ন ইন্ডাস্ট্রিকে বিপুল বিপদে ফেলেছে।

৩। বলা বাহুল্য, এই ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আসেন, তারা জেনে বুঝেই আসেন। এখানকার স্টারডম একেবারেই সাধারণ ছবির জগতের মতো নয়। খুব বেশিদিন পর্নে অভিনয় করেছেন, এমন উদাহরণ খুব কম।

৪। ছবিতে যেসব উত্তেজক মুহূর্ত দেখানো হয়, তার ৯০ শতাংশই নকল। কেবলমাত্র দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এইরকম অভিনয় করতে হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, পর্নও একটি সিনেমা। এবং এতে অভিনয়ই হয়ে থাকে।

৫। বড় প্রোডাকশন হলে সেক্ষেত্রে পর্ন ছবির সেট আলাদাভাবে প্রস্তুত করা হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ পর্নের শ্যুটিং সস্তা হোটেলে বা বাড়িতে করা হয়। তবে মারিও স্যালিয়ারির মতো বিশ্বখ্যাত পর্ন পরিচালক সুবিশাল টিম ও সেটআপ নিয়ে কাজ করেন।

৬। পর্ন তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন খুবই স্বাভাবিক। রন জেরেমি, ম্যাগডালেন সেন্ট মাইকেল বা জুলিয়া অ্যানতো রীতিমতে সম্মানিত। কিন্তু এই জায়গায় পৌঁছতে ভয়াবহ স্ট্রাগল করতে হয়। অনেকেই হারিয়ে যান অন্ধকারে।

৭। অন্যান্য সিনেমার মতো পর্ন ছবির শ্যুটিংয়ে বিপুল সংখ্যক টিম মেম্বার থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটে অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়া চিত্রগ্রাহক, পরিচালক এবং একজন সাউন্ড রেকর্ডিস্টই শুধু থাকেন। তবে ইতালি বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে পর্ন একটা রীতিমতো ইন্ডাস্ট্রি।

Bootstrap Image Preview