যাদের সেশন শেষ মানে ঢাবিতে আর যাদের ছাত্রত্ব নেই এমন ছাত্রদের উচ্ছেদ করতে কবি জসীম উদ্দীন হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গেলে তারা ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে।
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে হল প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকরা হলে অছাত্রদের বিষয়ে নজরদারির জন্য গেলে তারা ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হন। সে সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রভোস্ট কক্ষের জানালার কাঁচও ভাংচুর করেন।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে হল কর্তৃপক্ষ অছাত্রদের বের হয়ে যেতে তাগাদা দিচ্ছে। তারা হলের দুটি কক্ষে (২১৯ ও ৩২২) তালা ঝুলিয়ে দেয়।
সেদিন মধ্যরাতে আবাসিক শিক্ষকরা অছাত্রদের বের করে দেওয়ার জন্য হলের ভেতরে যান। এসময় হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে হলের লাইট বন্ধ করে হইহুল্লোড় শুরু করে। হলের দেয়ালে রড দিয়ে আঘাত করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পরে প্রভোস্ট হল থেকে বের হয়ে যাবার সময় তাকে ‘জামায়াত’ সমর্থক প্রভোস্ট মন্তব্য করে গলিগালাজ করে তারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত শনিবার প্রভোস্ট স্টান্ডিং কমিটির সভায় হলকে বহিরাগতমুক্ত করতে অছাত্র ও বহিরাগতদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে কবি জসীম উদ্দীন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, হলে সিট সংকট রয়েছে। কথা শোনেনি বলে কক্ষে তালা দিয়েছি। এটা প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ। সিটের বিষয়ে সিগন্যাল দিলে অনেকেই নাখোশ হবে এটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এটি হল প্রভোস্টদের দায়িত্ব। বিষয়টি তারাই দেখবেন।