Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আ.লীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে নিহত ১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১১ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাবনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবলীগের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।শহরের পৈলানপুরে অটোবাইক স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত যুবলীগ কর্মীর নাম অরিন (২৮)। আহতদের নাম জানা যায়নি।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৩ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী অনিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অনিক পাবনা শহরের পৈলানপুর মহল্লার হাসান আলী ভুট্টুর ছেলে। তিনি অটোবাইক স্ট্যান্ডের মাস্টার পদে দায়িত্ব পালন করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান, জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক হাজী শরিফ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রুপের মধ্যে অটোবাইক স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শহরের রুপকথা রোড এবং পৈলানপুর মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় চারদিকে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে। এ সময় পৈলানপুরে ইছামতি নদীপাড়ে প্রতিষ্ঠিত হাজি শরিফের অফিস ইয়াকুব আলী স্মৃতি সংঘে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

হাজী শরিফ অভিযোগ করেন, তার অফিসে রাখা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ ৫ কর্মী-সমর্থককে আহত করা হয়। আহত যুবলীগ কর্মী অনিক হাসাপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

অপরদিকে যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রথমে হাজী শরিফ গ্রুপের ছেলেরা তার সমর্থক যুবলীগ কর্মী আলআমিনকে ছুরিকাঘাতসহ ৫ জনকে আহত করে।

পাবনা থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আইনের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না।

Bootstrap Image Preview