বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থ্যতা নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পরে তার ভাই জিএম কাদের বলেন, “এরাশাদ শীঘ্রই সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এরশাদ অসুস্থ এবং খুবই দুর্বল, সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন সেটা একেবারেই মিথ্যা কথা।’
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন বিরোধী দলীয় নেতা এইচ এম এরশাদ। দেড় মাসের ব্যবধানে তিনি দ্বিতীয় দফায় সিঙ্গাপুরে গেলেন চিকিৎসার জন্য। এর ঠিক আগে আগে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সবশেষ গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুর সংবাদের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মৃত্যুর’ গুজব ছড়ায়।
এর আগে রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এরশাদ।
তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং মোর্শেদের স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদ।
বিমানবন্দরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিদায় জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রমুখ।
বিদেশ যাওয়ার আগে সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান এরশাদ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দিন অর্থাৎ ডিসেম্বরের ১০ তারিখেও এরশাদকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়েছিল। ওই সময়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা নিয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। তিনি ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে নির্বাচনের আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন।