Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভালোবাসার সম্পর্ককে দৃঢ় করার কিছু কৌশল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৩২ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৩২ PM

bdmorning Image Preview


আমরা সবাই প্রত্যাশা করি সুন্দর একটি ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলার। যে ভালোবাসার সম্পর্কটি বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্ক। এমন সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দু’জন মানুষকেই সমানভাবে চেষ্টা করতে হবে এবং দুই পক্ষ থেকেই একই রকম ইচ্ছা পোষণ করতে হবে। আনন্দপূর্ণ কিংবা সুখি ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা মোটেও কোন কঠিন কাজ নয়! কারণ, সম্পর্কটাই গড়েই ওঠে ভালোবাসার ভিত্তির উপরে। সেক্ষেত্রে, সম্পর্কের মাঝে স্বচ্ছতা এবং সুখ আনার জন্য খুব বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না।

তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র সুখি সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতি খেয়াল রাখাটাই যথেষ্ট নয়। সম্পর্কের গাঁথুনি কতোটা মজবুত ও বন্ধন কতখানি শক্ত, সেটা সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পর্কের ভিত, বিশ্বাস, আস্থা, ভরসা যতোটা মজবুত, ঠিক ততটাই মজবুত হয় সেই সম্পর্কের গাঁথুনি! জীবনে চলার পথে নানান অভিজ্ঞতার ফলে সম্পর্কের মাঝে পরিপক্বতা চলে আসে। তার মাঝে এমন কিছু দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে যা ভালোবাসার সম্পর্কে থাকা মানুষ দু’জনের বন্ধনকে নিয়ে যায় একেবারে ভিন্ন উচ্চতায়।

সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করা

খুব ছোটবেলায় ঘটা মজার কোনো স্মৃতি থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের খুব গুরুগম্ভীর কোনো বিষয়- সকল কিছু নিয়েই ভালোবাসার মানুষটার সাথে একদম মন খুলে আলোচনা করার মাধ্যমে সম্পর্কের মাঝে গভীরতা সৃষ্টি হয়। এতে করে সঙ্গী মানুষটা শুধুমাত্র একজন ভালোবাসার মানুষ নয়, বন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠে সময়ের সাথে সাথে। তার চাইতেও বড় কথা এতে করে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা খুব চমৎকার হয়।

যে কোনো উপলক্ষ্য উদযাপন করা

হয়তো সঙ্গী মানুষটি পরীক্ষায় খুব দারুণ ফলাফল করেছেন অথবা, আপনি নিজে চাকরীতে বোনাস পেয়েছেন- এমন সকল ছোট কি বড় উপলক্ষ্য গুলো একসাথে উদযাপনের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্প্রীতি এবং ভালোবাসা বোধ প্রবলভাবে ফুটে ওঠে। একইসাথে একে-অন্যকে যে কোন ক্ষেত্রে মানসিকভাবে সমর্থন করার ব্যাপরটিও চলে আসে এখানে। 

মোট কথা, উভয়ের যে কোন ধরণের উপলক্ষ্যে একসাথে কিছুটা সময় কাটানোর মাধ্যমে সম্পর্কের মাঝে বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে ওঠে।

একসঙ্গে ভ্রমণে যাওয়া

নিঃসন্দেহে এটা সবচাইতে আনন্দপূর্ণ এবং দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা একটা ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝে। প্রতিটি যুগলের পক্ষে একসাথে দূরে কোন ভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করা সম্ভব না হলেও, শহরের মাঝে অপরিচিত কোন স্থানের উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়া যায়। দারুণ কোন আবহাওয়ায় ভালোবাসার মানুষটার সাথে কোন রাস্তার ধারে কিংবা পার্কে একাকী কিছু চমৎকার সময় কাটানোর মাধ্যমে সম্পর্কের ভিতটা যেন আরও একটু বেশি মজবুত হয়!

পরস্পরকে দেওয়া গোপন নাম

বলার অপেক্ষাই রাখে না, এই ব্যাপারটি কতোটা দারুণ। একে-অন্যকে নিজেদের দেয়া নাম ধরে ডাকার মাধ্যমে সাধারণত সম্পর্কের মিষ্টতা প্রকাশিত হয়ে থাকে। আদতে এই অভ্যাসটিকে খুব স্বাভাবিক বলে মনে হলেও এটার মাধ্যমে বোঝা যায়, দু’জন মানুষের মাঝে খুব আলাদা ও গোপন একটা পৃথিবী রয়েছে। যেটা শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব! অনেকের ক্ষেত্রে হয়ত নামের পেছনে রয়েছে কোন গল্প! ঝগড়া বা মনোমালিন্যের সময়ে সঙ্গী মানুষটাকে সেই বিশেষ নাম ধরে ডাকলে সম্পর্কের মাঝে সমস্যাগুলো অনেকটাই শিথিল হয়ে যায়। দিন শেষে ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের দেওয়া নাম ধরে ডাকলে সত্যিকার অর্থেই ভালোলাগায় মন ভরে ওঠে।

বিভিন্ন ধরণের কাজ একসঙ্গে করা

একসাথে সময় কাটানো এবং একসাথে বিভিন্ন ধরণের কাজ করার মাধ্যমে ফুটে ওঠে দারুণ একটি সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। একসাথে সময় কাটানো মানে এই নয় যে, সকল কাজ একসাথে করতে হবে কিংবা সবসময় একসাথে থাকতে হবে। একসাথে সময় কাটানো যেতে পারে নতুন কোন কোর্সে একসাথে ক্লাস করে, একসাথে জিম করে অথবা একসাথে সিনেমা দেখা।


লং-ডিস্টেন্স সম্পর্ক

ভালোবাসার মানুষের দূরে থাকার ব্যাপারটি সত্যিকার অর্থেই কষ্টকর। এতে সন্দেহ পোষণ করার অবকাশ নেই বিন্দুমাত্র। তবে ইতিবচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই লং-ডিস্টেন্স সম্পর্কটা অনেক ক্ষেত্রে ভালোবাসার সম্পর্কটাকে আরো বেশি মজবুত করে দিতে সাহায্য করে! কারণ, উভয় পক্ষ থেকেই নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সম্পর্ককে সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য। তার চাইতেও দারুণ কথা হচ্ছে, লম্বা সময়ের ব্যবধানে ভালোবাসার মানুষটি যখন ফিরে আসে, তখন ভালবাসাটাও অনেক বেশী বেড়ে যায় যেন!

নিজেদের ভয়ভীতি, দুর্বলতা ও সকলকিছু পরস্পরকে জানানো

কিসে আপনি ভয় পান, কোন ব্যাপারটিতে আপনার অনেক দুর্বলতা, কোন কারণে আপনি অনেক রেগে যান- নিজের সম্পর্কে এমন সকল খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো সঙ্গীকে জানানো এবং তার সম্পর্কে জানার মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রটি অনেক মজবুত হয়। অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কিংবা মনের মাঝে সন্দেহ ধরে রেখে নিজেকে ভালোবাসার মানুষের কাছ গুঁটিয়ে রাখার কোন অর্থ নেই।

একসাথে হাসা

খুব ছোটখাটো কোন ব্যাপারে অথবা পুরনো কোন ঘটনা মনে করে একসাথে প্রাণ খুলে ততোক্ষণ হাসা যতক্ষনে না পেটে খিল ধরে যায়। খুবই সামান্য ও সাধারণ একটি কাজ তাই না? কিন্তু এতে করেই পরস্পরের মাঝে তৈরি হওয়া যেকোন ধরণের দুরত্ব কমে আসে একদম।

একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জন মানুষের কিছু স্বপ্ন, অনেক ভালোবাসা ও দুজনের সম্মিলিত প্রয়াসে। সেই সম্পর্কের মাঝে দৃঢ়তা থাকার প্রয়োজন অন্যান্য যে কোন কিছুর আগে। সময়ের সাথে অভিজ্ঞতার ঝুলি যতটা ভারী হবে, সম্পর্কের মাঝে দৃঢ়তা ততটাই বৃদ্ধি পাবে।

Bootstrap Image Preview