Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঝিনাইদহে যেভাবে সাত দিনে ১১ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৭ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারবাজারে সাত দিনে ১১ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা দোকানের ভেন্টিলেটার ও সাটার ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, মোবাইল রিচার্জ কার্ড, মটর পাম্প, কাপড়, হার্ডওয়্যার ও ইলেক্সটনিক মালামাল ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা মালামাল চুরি করে নেয় চোরেরা।

স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ইকবালের মোবাইল দোকান বিএলস্মার্ট জোনের সার্টার ভেঙ্গে চোরেরা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৬০টি বিভিন্ন ধরনের মোবাইলের মেমরি কার্ড ও রিচার্জ কার্ড নিয়ে যায়। যার অনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

১৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে হাসান আলীর রহমানিয়া গার্মেন্টসের পেছনের দরজা ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৫৬ হাজার টাকা ও শীতের পোশাক নিয়ে যায়। একই তারিখে সাধন দত্তের দত্ত ষ্টোর মুদিখানা দোকানের পেছনের গেট ভেঙ্গে নগদ টাকা ও সিগারেটসহ প্রায় ২ লক্ষ মালামাল নিয়ে যায়। একই রাতে মামুন এর ঢাকা গ্লাস হাউজের সার্টার ভেঙ্গে ৪৫ হাজার নগদ টাকা নিয়ে যায়। সাফাত হোসেনের অলিফ এন্টার প্রাইজ নামের দুই দোকানের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে পানির মটর ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এদিকে পলাশ হোসেনের তাজমহল গার্মেন্টস এর সার্টার ভাংলেও কিছু নিতে পারেনি।

১৯ জানুয়ারী রাতে মিরাজ হোসেনের খন্দকার টেলিকমের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে ১১০পিচ মোবাইল সেট, মেমরি কার্ড ও রিচার্জ কার্ডসহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার মাল নিয়ে যায়। একই রাতে পাশের জ্যোতি টেলিকম, জুয়েল হার্ডওয়ার, উনিশে লাইব্রেরী ও মাইন পেপার হাউজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হবে বলে জানা গেছে।

রহমানিয়া গার্মেন্টসের মালিক হাসান আলী জানান, এই ঘটনার পর আমরা সবাই ফাড়িতে গিয়াছিলাম। ফাড়ির আইসি বললেন, তিন দিন পর আপনাদের নিয়ে বসবো। এই তিন দিন কষ্টকরে পাহারা দেন। জানতে চাহিলে বারবাজার ক্যাম্পের আইসি সিহাব উদ্দীন বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বর ও ব্যাবসায়ীদের নিয়ে আমরা বসবো।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, গত শনিবার রাতে চুরির ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়াছিলাম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আগে যারা নাইট গাট ছিল তাদের সব বাদদিয়ে এখন মালিকরা নিজেরাই পাহারা দিচ্ছে এবং রাতে পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে।

Bootstrap Image Preview